সুপারস্টার আমির খান। বলিউডের ‘পারফেক্ট’ অভিনেতা হিসেবে পরিচিত। যিনি কিনা সিনেমায় পারিশ্রমিক নেন না। এমন খবরে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই! কারণ তিনি পারিশ্রমিকের কোনো নির্দিষ্ট অংকে বাঁধা নেই। সরাসরি ছবির মালিকানায় ভাগ বসান।
অর্থাৎ ছবি থেকে অর্জিত লভ্যাংশই তার পারিশ্রমিক। ছবিতে গত এক দশক ধরে এভাবেই চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন আমির খান। আর আমিরের ছবি মানেই জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সফলতা। এমন একজন অভিনেতার ধন-সম্পদে আমিরি ভাব থাকাটা খুব একটা অযৌক্তিক নয়।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেল আমির খানের বিপুল ধন সম্পদের তথ্য। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উঠে আসে আমিরের গাড়ি ও বাড়ি প্রীতির খবর।
আমিরের বার্ষিক আয় ১৪৩ কোটি রুপি। তার মোট সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১৪০০ কোটি রুপি। রয়েছে বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের গাড়ি, যারমধ্যে প্রায় ২ কোটি রুপি মুল্যের একটি রেঞ্জ রোভার, ৩ কোটি ১০ লক্ষ রুপির বেন্টলের ‘কন্টিনেন্টাল ফ্লাইং স্পার’, ৪ কোটি ৬০ লাখ মুল্যের বুলেটপ্রুফ রোলস রয়েস এবং সাড়ে ১১ কোটি রুপির ‘মার্সিডিজ বেঞ্জ এস ৬০০’।
গাড়ির মতো বাড়ি কেনার প্রতিও রয়েছে আমিরের বিশেষ শখ। আমির যেখানে বেশিরভাগ সময় থাকেন, অর্থাৎ মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত ‘ফ্রিদা অ্যাপার্টমেন্ট’ এর মূল্য ৬৫ কোটি রুপির কিছু বেশি। ওই বাড়ি আবার ভারতের বিখ্যাত ‘ফারলেঙ্কো’ ব্র্যান্ডের আসবাবপত্রে ঠাসা, যার বাজারমুল্য ২ কোটি রুপি।
এছাড়া মহারাষ্ট্রের পঞ্চগনিতে ১৫ কোটি রুপির বাংলো, উত্তরপ্রদেশের শাহাবাদে রয়েছে পৈতৃক ভিটেবাড়ি এবং আমেরিকার বেভারলি হিলসে ৭৫ কোটি রুপির একটি বাংলো মিলিয়ে মোট নাকি ২৫টির মতো বাড়ি রয়েছে আমিরের।
চলচ্চিত্র ও ব্যক্তিগত জীবন- উভয় ক্ষেত্রেই আমিরি ভাব বজায় রেখে চলেছেন আমির খান। চলতি বছরের নভেম্বরে আসতে চলেছে তার ২১০ কোটি রুপি বাজেটের ছবি ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’। ছবিতে তাকে একজন দুর্ধর্ষ ডাকুর ভূমিকায় দেখা যাবে।
আমির ছাড়াও ছবিতে অমিতাভ বচ্চন ও ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকাদের দেখা যাবে। ইতিমধ্যে ছবির লোগো, অমিতাভের দস্যু লুক এবং ফাতিমা সানা শেখের তীরন্দাজ লুক প্রকাশিত হয়েছে।
গো নিউজ২৪/জাবু