‘হা গুলো’ এটি একটি গানের শিরোনাম। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে। ‘হা গুলো’ কোনো বাংলা নয়। এমনকি বিদেশী কোনো পরিচিত শিল্পীর গানও নয়।
এটি একটি কাশ্মীরি গান, যার গায়কও জনপ্রিয় কোনো শিল্পী নয়। তবে তিনি আলোচিত। বিদ্রোহী জঙ্গি থেকে সংগীতশিল্পী হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
বলছিলাম ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলতাফ মীরের কথা। মীর একজন লোকসংগীত শিল্পী। তবে এক সময় মোটেও তার মনে শিল্প সত্ত্বা কাজ করত না। বরং হাতে রাইফেল নিয়ে সারাক্ষণ প্রতিশোধের নেশায় মত্ত থাকতেন।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অনন্তনাগে মীরের বসবাস। এক সময় কাপড় বুননের কাজ করতেন। শখের বসে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গানও করতেন। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে মীরের পরিবার।
সুঁই-সুতা ছেড়ে হাতে তুলে নেন অস্ত্র। ২২ বছর বয়সে নেমে পড়েন যুদ্ধের ময়দানে। ধীরে ধীরে পরিবার থেকে দূরে সরে যান মীর।
এক সময় মীরের ঠিকানা হয় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মোজাফরাবাদে। যুদ্ধের নৃশংসতা তাকে তাড়িয়ে বেড়াতে থাকে। নিজে নিজে প্রায়শ্চিত্ত করেন মির। হারিয়ে যান সোনালী অতীতে। স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান- সেই সুঁই-সুতা, গান, পরিবার। এক সময় নিজেকে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। করেছেনও তাই।
**ভিডিও...
২০০০ সালের দিকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন মীর। বিয়ে করে সংসার গড়েন। সেই সঙ্গে আত্মার খোরাক জোগাতে নিয়মিত গানের চর্চাও শুরু করেন। গড়ে তোলেন গানের দল ‘ক্যাসামির’।
এই ব্যান্ড থেকেই ‘হা গুলো’ শিরোনামে গান বাঁধেন ৫০ বছর বয়সী মীর। কাশ্মীরি লোক ধাঁচের এই গানের ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করতেই ছড়িয়ে পড়ে। আর বেরিয়ে আসতে থাকে মীরের ধুসর অতীত।
গো নিউজ২৪/জাবু