ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জীবন নায়ে কাটিয়ে দিলেন আরো এক বসন্ত


গো নিউজ২৪ | বিনোদন প্রতিবেদন: প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৮, ০৪:৫৩ পিএম আপডেট: জুলাই ১৭, ২০১৮, ১০:৫৪ এএম
জীবন নায়ে কাটিয়ে দিলেন আরো এক বসন্ত

পর্দায় যাকে দেখলে মমতাময়ী মায়ের কথা মনে পড়ে যায় তিনি হলেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা অভিনেত্রী ডল জহুর। আজ তার ৬৫তম জন্মদিন। গো নিউজের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর জন্য রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

১৯৫৩ সালের ১৭ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ডলি জহুরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার গ্রিন রোডে। এই জন্মদিনে জেনে নেই তার সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য:

** ১৯৭৪-৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে নাট্যদল ‘নাট্যচক্র’তে যুক্ত হন। ওখান থেকেই নিয়মিত অভিনয়ের শুরু।  

** আশির দশকে হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘এইসব দিন রাত্রি’ নাটকে অভিনয় করে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেন ডলি জহুর। ‘এইসব দিনরাত্রি’ তে মুগ্ধ করেছেন মমতাময়ী ভাবীর চরিত্রে, ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবিতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মমতাময়ী ‘বড় আপা’ চরিত্রে। 

১৯৯২ সালে ‘শঙ্খনীল কারাগার’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারও পান। তিন বার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ পেয়েছেন, একবার প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে এবং দুবার সহ-অভিনেত্রী হিসেবে।

** তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অসাধারন’। তিনি ১৬০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

** প্রয়াত অভিনেতা জহুরুল ইসলামের সঙ্গে ডলি জহুরের বিয়ে হয় ১৯৭৬ সালের ৫ নভেম্বর। বিয়ের নয় বছর পর তাদের ঘর আলোকিত করে একমাত্র সন্তান রিয়াসাতের জন্ম হয়। 

ডলি জহুর তার স্বামীকে হারান ২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর। সেই থেকে জীবনের কঠিন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে একমাত্র সন্তান রিয়াসাতকে মানুষ করেছেন।

** একমাত্র ছেলে রিয়াসত আজিম স্বস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়া থাকেন। সে ওখানে শিক্ষকতা করে। গেল এপ্রিলে (২০১৭) তার প্রথম সন্তান হয়। কিন্তু সন্তান জন্মের তিন ঘণ্টা পরে মারা যায়।

** বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়াতে পুত্রের কাছে রয়েছেন। সর্বশেষ তিনি ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ও ‘নোয়াশাল’ নামের দুটি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। তিনি সর্বশেষ এফ আই মানিক পরিচালিত ‘দুই পৃথিবী’ ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিতে শাকিব খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

** ২০১২ সালে হজে যাওয়ার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, দেশে ফিরে আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন না। তারপর থেকে আর বড় পর্দায় অভিনয় করেননি।

** বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি প্রায়ই বঙ্গবন্ধুর বাসায় যেতেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা তার বান্ধবী। শেখ কামাল আর ডলি জহুর একই নাট্যদলে কাজ করতেন।  

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হত নাটকের রিহার্সাল-একটানা চলত রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত।’ রিহার্সাল শেষে ডলি জহুর বাসায় ফিরতেন শেখ কামালের সাথে। কারণ ডলি জহুররা তখন হাতিরপুলে থাকতেন। ডলি জহুরকে বাসায় পৌছে দিয়ে তারপর ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের বাসায় যেতে কামাল। 

ডলি জহুর আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন-১৯৭৩-৭৪ সালে ঢাকা শহরে রাত ১০টা মানেই অনেক রাত। রাস্তা একেবারেই ফাঁকা। সেখানে প্রতিদিন কামাল ভাই আমাকে ১১টা-১২টার দিকে বাসায় পৌছে দিতেন। প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও তার কাছে সবসময় টাকা থাকত না। এ নিয়ে অনেক ক্ষ্যাপাতাম। শুধু আমি না ক্যাম্পাসেও তার বন্ধুরা তাকে এই জন্য ক্ষ্যাপাত। 

যেদিন কামাল ভাইয়ের কাছে টাকা থাকত না সেদিন রাতে হেঁটে যেতাম। যেদিন টাকা থাকত সেদিন যেতাম রিকশায়। কত রাতের পরে রাত উনার সাথে আমি একা বাসায় ফিরেছি অথচ এক বারের জন্যও আমি তাকে আমার দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাতে দেখিনি। আমি উনার ছোট বোন শেখ রেহানার বান্ধবী ছিলাম। 

ছেলেরা ছোটবোনের বান্ধবীদের সাথে কতরকম দুষ্টামী করে। উনি কোনদিন তাও করেন নি। ভুল করেও বলেন নি-ডলি তোর হাতটা দে তো ধরি। এক কথায় কামাল ভাই ছিলেন ভাইয়ের মতই ভাই। শুধু আমি কেন যেসব মেয়েরাই উনার সাথে মিশত সবাই এই কথা স্বীকার করবেন।

গো নিউজ২৪/জাবু

বিনোদন বিভাগের আরো খবর
বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী