ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিজেকে বদলাতে আত্মবিশ্বাস-ই যথেষ্ট: সাবরিনা সাবা


গো নিউজ২৪ | বিনোদন প্রতিবেদন: প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০১৮, ০৭:৫৪ পিএম
নিজেকে বদলাতে আত্মবিশ্বাস-ই যথেষ্ট: সাবরিনা সাবা

ছবি: ফেসবুক থেকে নেয়া।

‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, আজকের দিনটা। কাঁদতে কাঁদতে এফডিসির ৮নম্বর শ্যুটিং ফ্লোরে রিয়ালিটি শোর সেট থেকে থেকে মা কে টেনে নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলাম। সময়টা ২০১০ সাল, ম্যামদের অনুপ্রেরণায় স্কুল থেকে নাম লিখিয়েছিলাম। মার্ক্স_অলরাউন্ডার এনটিভিতে। 

ছোট থেকে বড়দের গ্রুপ মোট ৩ টা। আমি ছিলাম ৩ নম্বর গ্রুপে। ১ম এ ভিকারুননিসা থেকে নাম গেল। পুরো ঢাকা শহরের স্কুলগুলোর মধ্যে থেকে মাত্র কয়েকজন কে নেয়। প্রতিটা বিষয়েই (নাচ,গান,আবৃত্তি,অভিনয়) দক্ষ বিচারকের মুখোমুখি হতে হয়েছে, অনেক রাউন্ড পার করে। 

এরপর ৬ টা বিভাগের মধ্য থেকে এভাবে মাত্র ১০০ জন কে বাছাই করা হয়। প্রতি গ্রুপ এ ৩৩ জন। আমার সেকেন্ডারি গ্রুপ থেকে টপ ১০ থেকে ৬ আসি। কম কথা? গোটা বাংলাদেশ থেকে আড়াই লাখ প্রতিযোগী ছিল।

এবার কঠিন পরীক্ষা, গ্রুমিং শুরু। ৬ জনের লড়াই। বিচারক ছিলেন জুয়েল আইচ, হাবিব ওয়াহিদ, অপি করিম। ৩ সুপারস্টার। 

হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, প্রতি এপিসোড এ কনফিডেন্ট থাকতাম। বেস্ট দেওয়ার। এভাবে ৬, ৫, ৪ এ আসি। লাস্ট এপিসোড এ টপিক ছিল মা নিয়ে। ৬০/৬০ পেয়েছি, আমার পারফরমেন্স এ বিচারকদের চোখে পানি এসেছিল। 

সেমিফাইনাল। আমি মঞ্চে, রেজাল্ট এর আগে বিচারকরা নেই। ৬০/৬০ পেয়ে নাকি ভোটে এলিমিনেটেড। পরে জেনেছি, তাদের উপর থেকে নির্দেশ ছিল, আমাকে বাদ দিতেই হবে, আমি টপ ৩-এ ফাইনালে থাকলে তাদের নিজেদের (কর্তৃপক্ষের) চেনা পরিচিত পারটিসিপেন্ট কে চ্যাম্পিয়ন করতে পারবেনা।

রেজাল্ট শোনার পর আমি ৩ দিন কষ্টে ঘুমাতে পারিনি। অনেক শ্রম দিয়েছিলাম। দিন রাত প্র‍্যাক্টিস। আমার লাইফ এ কোন গানের প্রতিযোগীতায় ১ম, ২য় ছাড়া ৩য় কোন দিন হইনি। এমনকি বাকি ১৬ কলা ই রপ্ত। অথচ,স্বপ্ন টা ফুল নম্বর পাওয়ার পর ও ভেঙে চুরমার হবে ভাবিনি।

বিশ্বাস করুন, আমার যত টা না কষ্ট হয়েছে। তার থেকে বেশি বুক ফেটেছে আমার পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করা আমার মা এর ছলছল করা চোখ দেখে। মা জানতেন, তার এই চোখের পানি দেখলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারি। 

সেটা আড়াল করে, আমাকে শান্তনা দিতে দিতে সবার সামনে বলেছিল, “ওরা জানেনা, একদিন তুমি সবার প্রিয় হবে। উপর ওয়ালার দেওয়া কোন কিছুই আটকে রাখার ক্ষমতা মানুষের নাই”

আমি কত টা বিশ্বাস করেছিলাম মনে নেই। এখন করি, আমার সেই অপ্রাপ্তি আজকে আমার লাখ শ্রোতাদর্শক এর প্রাপ্তিতে পরিণত। আমার উপর ওই সময় যারা বিশ্বাস রেখেছিলেন। তাদের আমি নিরাশ করিনি। 

বিচারকদের সাথে দেখা করেছিলাম ক’দিন পর। তারা বলেছেন, তোমাকে ইচ্ছে করে হারাতে চাইনি, আমরা লড়েছিলাম তোমাকে রাখতেই। আর কি লাগে? স্বয়ং বিচারকরা যখন আমাকে যোগ্য ভেবেছিলেন।’

এমন আবেগ জড়ানো কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেন সময়ের জনপ্রিয় তারকা সাবরিনা সাবা। 

সেখানে তিনি আরো বলেন, ‘৮ বছরের আমি অনেক পরিবর্তন হয়েছি। সেই তেজস্বিনী আমি, এখন অব্দি ওইসব মানুষদের সাথে টক্কর দিচ্ছি। সেই বাঁধা গুলি কখনো ডিঙাচ্ছি, কখনো বা সামনাসামনি লড়ে যাচ্ছি। ২০০৯ থেকে ব্যবহৃত আইডি, ৮৫ হাজার অনুসারীর ফেসবুক, লক্ষাধিক লাইকের পেইজ সাথে অনেক অনেক স্মৃতি বিজড়িত, বিশ্বস্ত মানুষজন নষ্ট (Hacked) করেছে। 

আজকাল ওটা নিশ্চয় একটা ব্যাপার (সেলেব্রিটি হতে লাগে নাকি) আমি ঘুরে দাঁড়িয়েছি। নতুন আইডি সচল। ঠেকায় কে? এখানে ১০ পা এগুলে, ৫ পা টেনে নামানোর চেষ্টা বিদ্যমান বলে কোথায় আমাকে নিয়ে কি লিখলো, কি লিখলো না, সারা সপ্তাহে টেলিভিশন এর পর্দা জুড়ে আমি থাকছি কি, থাকছি না। 

এ নিয়ে কখনোই খুব মাথা ব্যথা নেই এখন। পড়াশোনা করছি, আবার যখন যাদের প্রিয় হচ্ছি, সানন্দে সম্মানের সাথে ডাকছেন, কাজ করছি। 

এখনো বিশ্বাস করি, ধৈর্য্য থাকলে শুধু একটা রিয়ালিটি শো কেন? পুরো পৃথিবী জয় করা সম্ভব!! নিজেকে বদলাতে আত্মবিশ্বাস-ই যথেষ্ট ।’

গো নিউজ২৪/কাসা

বিনোদন বিভাগের আরো খবর
বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী