হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। আজ বিকেল চারটা ৩৪ মিনিটে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর আগে পরিবারের কাউকে পাশে পাননি তাজিন।
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম জানান, ‘খারাপ লাগছে মৃত্যুর সময় তাজিনের পরিবারের কেউ ছিলেন না পাশে। এখন পর্যন্ত তাজিনের পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। হাসপাতালে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাখা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেব কোথায় জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।’
জানা যায়, তাজিন আহমেদের পৈত্রিক বাড়ি নোয়াখালী। তবে ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর পাবনায় নানার বাড়িতে বেড়ে ওঠেন তিনি। এরপর কৈশোরে চলে আসেন ঢাকায়। মায়ের পৈতৃক বাড়ি ছিল আদাবরে। সেখানেই মানুষ হতে থাকেন।
বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, এই অভিনেত্রীর মা বর্তমানে গাজীপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। তাজিন আহমেদ মাঝে মধ্যে গিয়ে দেখে আসতেন। তারা খালা-মামারা আদাবরে থাকলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তাজিনের।
দাম্পত্য জীবনেও খুব একটা সুখী হতে পারেননি তাজিন। প্রথম জীবনে তাজিন আহমেদ ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন নাট্য নির্মাতা এজাজ মুন্নাকে। খুব বেশিদিন টেকেনি সেই সংসার। এরপর তিনি বিয়ে করেন একজন মিউজিশিয়ানকে। জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় স্বামীকেও পাশে পেলেন না তাজিন।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে যোগ দিয়ে জীবনের শেষ পর্যন্ত ‘আরণ্যক’-এর সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। টিভিনাটকে অভিনয় করে পরবর্তীসময়ে দর্শকের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তাজিন আহমেদ। রেডিও এবং টেলিভিশনে উপস্থাপনাও করেছেন।
তাজিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর করে তাজিন আহমেদ ভোরের কাগজ, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। আনন্দ ভুবন ম্যাগাজিনের কলামিস্টও ছিলেন তিনি। পরে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গোনিউজ২৪/এআরএম
