মুগ্ধতার আরেক নাম জয়া আহসান। রুপ আর গুণে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই বাংলার চলচ্চিত্রাঙ্গন। বড় পর্দায় অভিষেকের পর থেকেই উপহার দিয়েছেন একাধিক দর্শকপ্রিয় সিনেমা। অন্যান্যদের মতো এ তারকার ব্যক্তিগত জীবন কিংবা প্রেম সংক্রান্ত বিষয় একদমই খোলাসা নয়। কারণ তারকা অভিনেত্রীরা কাজের প্রয়োজনেই একেকবার একেকজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। আপাতত সেটি শোনা জায়নি এই অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে। যদিও ঠিকই প্রেমপত্র পেয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু এই প্রেমপত্র এমন একজনের কাছ থেকে পেয়েছিলেন জয়া, যেটি শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও। এটি বাস্তবিক জীবনের সত্যিকারের এক অসম প্রেমের গল্প।
অনেকেই জানেন অভিনয়ের পাশাপাশি শিক্ষকতাও করতেন জয়া। ঠিক ওই সময়ই প্রেমপত্র পেয়েছিলেন তিনি। যদিও জয়ার জীবনে এসেছিলেন এক অসম প্রেমিক। শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই, অবাক হলেও বাস্তবতাও যে মেনে নিতে হবে।
স্নাতকে ভর্তি হওয়ার আগে কিছুদিন একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন জয়া। সেখানেই দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের কাছ থেকে প্রেমপত্র পেয়েছিলেন তিনি। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমকে এ গোপন তথ্য জানান জয়া।
জয়া বলেন, আমি মনে করি এর চেয়ে অসম প্রেম আর হতে পারেনা। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের কাছ থেকে এমন একটি প্রেমপত্র পাব ভাবিনি। ফয়সাল নামের সেই ছাত্রটি খুব দুষ্টু ছিল। প্রেমপত্রটি দেখেছে পাশে বসা এক ছাত্রী।
সে বলে উঠল, ‘ম্যাম, ম্যাম, দেখেন, কী লিখছে এটা’! আমি দেখলাম, কাগজের একপাশে আমার একটা ছবি আঁকা, আরেক পাশে একটা হার্ট। আর এই হার্টের মাঝখান দিয়ে একটা তীর চলে গেছে। সেখানে লেখা, ফয়সাল লাভস জয়া মিস! এটা আমার সবচেয়ে ছোট প্রেমিকের কাছ থেকে পাওয়া প্রেমপত্র।’
শিক্ষকতার বিষয়ে জয়া বলেন, ‘আমি তখন ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেছি। অনার্সে ভর্তির আগে এক বোনের বদলি হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করি। শুরুতে ক্ষণস্থায়ী হলেও পরে স্থায়ীভাবে শুরু করি। একসময় ছেড়ে দিই।’
উল্লেখ্য, জয়া আহসান এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। আজ জিও ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের (পূর্ব) অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। এবার আসরে ‘বিসর্জন’ ছবির জন্য তিনি সমালোচক এবং জনপ্রিয়—দুই ক্যাটাগরিতেই ‘সেরা অভিনেত্রী’র মনোনয়ন পেয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
গোনিউজ২৪/এআরএম
