ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মানব পাচার: দেশে ফিরে যা বললেন অনন্য মামুন


গো নিউজ২৪ | বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০১৮, ০৪:৪০ পিএম আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০১৮, ১১:২১ এএম
মানব পাচার: দেশে ফিরে যা বললেন অনন্য মামুন

মানব পাচারের অভিযোগে গত বছর ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ নির্মাতা অনন্য মামুনকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়ান পুলিশ। প্রায় দুই সপ্তাহ মালয়েশিয়া পুলিশ কাস্টডিতে থাকার পর গতকাল শুক্রবার রাতে দেশে ফিরেছেন এই নির্মাতা। 

এই দুই সপ্তাহ জুড়ে অনেক আলোচনা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন অনন্য মামুন। দেশে ফিরে ঘটে যাওয়া বিষয়ে প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি। অনন্য মামুনের দেওয়া পুরো বক্তব্যটি গো নিউজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল: 

মালয়েশিয়ায় গত আট থেকে ১০ বছর যাবৎ প্রফেশনালি টিকিট সেল কোনো শো'তেই হয়নি। এ সময়ে যে সব শো হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের অল্প সব ফ্রি শো। লাস্ট একটা শো হয়েছিল, সেই শোতে মমতাজ আপা গিয়েছিলেন। আর সেই শোতে মারামারি হয় এবং শো বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলা মোকাদ্দমা হয়। এরপর থেকে কমার্শিয়াল কোনো শো হয়নি। আমারও মালয়েশিয়াতে কোনো শো করার পরিকল্পানা ছিল না। আমারই এক বন্ধু রয়েছে সম্পদ। ও যাওয়ার পর বললো, ওমানে আপনি একটা সাকসেসফুল শো করছেন, মালয়েশিয়ায় একটা করেন ভালো লাগবে। আমি বললাম ওকে, আমার করতে সমস্যা নেই। আমি মালয়েশিয়াতে গেলাম, তারপর শো গুটিয়ে নিয়ে আসলাম। 

'ক্যাম টু দ্য পয়েন্ট' -আমি যেটা নিয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি, সেটা হলো কত বড় গেমিং ছিল। আমি অনন্য মামুন। আমার সাথে একটা কোম্পানি স্পন্সর ছিল। আমার সাথে একটি বেসরকারি টিভিও ছিল। তারা আমাদের মিডিয়া পার্টনার ছিল। তার মানে কি সেই  টিভি ওই কাজের সাথে জড়িত। একটি স্পনসর কোম্পানির দায়িত্ব কি? লাইভ টেকনোলজির সাথে একটা কোম্পানি টাইটেল স্পন্সর করছে। টাইটেল স্পন্সরের কারণে তারা আমাকে একটা টাকা দিয়ে হেল্প করেছে। এবং তারা এই শো-এর সাথে জড়িয়েছে। এর বাইরে কিছুই না।

কিন্তু যেটা হলো সেটা, আমি যখন শো করতে গেলাম তখন সবাই আমাকে বাধা দেওয়া চেষ্টা করলো। এরপর শো-এর তিন দিন আগে অচেনা নম্বর থেকে একটা ফোন আসে এবং বলে, মামুন ভাই মালয়েশিয়াতে শো করতে গেলে ৫০ হাজার রিংগিত দিতে হবে। তখন বললাম, আমি আপনাকে চিনিও না জানিও না। শো করতে এসেছি, কেন টাকা দিতে হবে? তখন ওই প্রান্তে থেকে লোকটি বলল, আচ্ছা ভাই আমি দেখব, আপনি কীভাবে শো করেন। 

এরপর শো-এর দুদিন আগে রাতের বেলা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলাম, সেখানে ৫/৭ জন অপরিচিত লোক আসল, যারা প্রথমেই এসে বললো মামুন ভাই, শো করতে হলে আমাদের ৫০০ টিকিট ফ্রি দিতে হবে। কেন দিতে হবে রিজনটা কি? তখন তারা বললো, মালয়েশিয়া শো করবেন আমাদের টিকিট দেবেন না? বললাম, আমি কি কারও টাকা দিতে শো করছি। এটা কমার্শিয়াল শো। কমার্শিয়াল শো কাউকে টিকিট দেয় না। এটা নিয়ে অনেক কিছু হলো। আমি কিন্তু প্রত্যেকটি বিষয় খুবই স্বাভাবিকভাবে নিয়েছি। এটা সিরিয়াসভাবে নেওয়ার কিছু নেই। একটা বড় কাজ করতে গেলে এমন অনেক কিছু আসতে পারে। আমার শো শুরু করলাম। আর্টিস্টদের একটা বিরূপ ক্ষোভ ছিল সেটা হলো ইমিগ্রেশন নিয়ে...

আমার আর্টিস্টরা ল্যান্ড করলো ৫টা ২০ মিনিটে এবং অফিসারদের শিফটিং হয় ৭টায়। এ সময় বাংলাদেশি ইমিগ্রেশনের যে ভিসা দেখেন সেই অফিসারটা চলে গিয়েছিল। নতুন অফিসার যখন আসলো তখন পৌনে ৮টা। অর্থাৎ তখন আর্টিস্টরা কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করছে। কারণ কাউন্টারে কোনো লোক ছিল না। তখন থেকে সবাই একটু বিরক্ত মনোভাব। এই বিরক্ত মনোভাবের দায় আমি নিতে পারি না। এটা ইমিগ্রেশনের দায়িত্ব, আমার না। 

যাই হোক, ইমিগ্রেশন শেষ করে আমাদের একটা পলিসি ছিল যে আমরা অনুশীলন করব। আমারা লাইট চেক করব, সাউন্ড চেক করব। যেহেতু ২৩ তারিখে আমাদের শো, আর আমরা ২৩ তারিখ সকালে সেখানে গিয়ে পৌঁছাই। ইমিগ্রেশন শেষ করে হোটেল ঢুকতে ঢুকতে সবার প্রায় একটা-দেড়টা বেজে যায়। ওখানে একটা লোকাল কোম্পানি সাপোর্ট দিচ্ছিল, কোথায় থাকবে ও কিভাবে থাকবে... এটা তাদের দায়িত্ব ছিল। তারা একজন কণ্ঠশিল্পীর জন্য যে অ্যাপার্টমেন্টের ব্যবস্থা করছিল সেটা তার পছন্দ হয়নি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ফোন দেন, আমি গিয়ে অন্য একটা হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করি। এরপর সবাই যে যার মতো শো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। শো-শুরু হওয়ার পর ৭ মিনিট বন্ধ ছিল। কারণ সেখানে দু'টি গ্রুপের মধ্যে বসা নিয়ে একটা গণ্ডগোল শুরু হয়। ওখানে দুটি গ্রুপ রয়েছে, আমি তাদের নাম বলতে চাইনা। কারণ পুলিশ বিষয়টা নিয়ে এখনও তদন্ত করছে। তাই নাম বলা ঠিক হবে না। এরপর যথারীতি শো শেষ হলো।

ওই দিন রাত তিনটায় সেই কণ্ঠশিল্পীর ফ্লাইট ছিল। তাকে বিমানে তুলে দিয়ে বাসায় ফিরে ঘুমাই। পরদিন বেলা ১২টার দিকে ঘুম থেকে উঠলাম। কিন্তু তখন শুনি নীরব-ইমন-রানাসহ আর্টিস্টরা যে অ্যাপার্টমেন্টে ছিল, ফাজলামি করতে গিয়ে সেখানকার একটা জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলেছে কে বা কারা। এ ঘটনায় অ্যাপার্টমেন্টের মালিক থানায় একটা অভিযোগ করেছে। আমি বিষয়টা স্বাভাবিকভাবেই নেই। উনি অভিযোগ করতেই পারেন। কারণ মালয়েশিয়ার নিয়মই এরকম। তখন আমার লোকাল পার্টনারকে বললাম, ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিতে। 

তারপর একটা ফোন আসে এবং বলে মামুন ভাই পুলিশ এসে সবার পাসপোর্ট চাচ্ছে। এখানে একটা গুজব ছড়ায় যায় যে, আমরা নাকি সবার পাসপোর্ট আটকে রাখছি। কিন্তু বিষয়টা এমন না। প্রফেশনাল ভিসায় গেলে তারা ভিসায় একটা সিল মেরে দেয়, যেটা মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া শহরের অফিস থেকে নিতে হয়। একটা লোককে দিয়ে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে যে কেউ খাবার পায় নাই, যেটা মিথ্যা কথা। আর একটা রুমের মধ্যে ৪০ জন মানুষ কেমন করে থাকে। ওইটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট, ওখানে রুমের কিন্তু কোনো সিস্টেম নেই। আর্টিস্টরা যে অ্যাপার্টমেন্টে ছিল সেখানে পাঁচটা করে রুম ছিল। মালয়েশিয়ায় যারা থাকেন তারা সবাই জানে। পুলিশ পাসপোর্ট চেক করলো। এরপর রিটার্ন টিকিট দেখলো। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ বলল, যে আয়োজন করছে তাকে আসতে হবে। তদন্ত করার জন্য আসছি, আমরা তদন্ত করব।

এর মধ্যে আমি অ্যাপার্টমেন্টের মালিককে জিজ্ঞাসা করলাম। এই ঘটনা, আপনি কি কোনো পুলিশি অভিযোগ করেছেন? উনি বলল, আমি কেন পুলিশে অভিযোগ করব, এখানে তো কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনায় নাই। এবং কোনো জানালার গ্লাসও ভাঙেনি। তখন আমি ৬টার দিকে পরিষ্কার হলাম। এইটা কেউ ষড়যন্ত্র করছে। খুব সুন্দর একটা পরিকল্পনা ছিল তাদের। 

'র' অদ্যক্ষরের একজন সংগীত শিল্পীও ছিল এই শো'তে। সে কীভাবে গেছে না গেছে এটা আমার চেয়ে সে ভালো জানে। সেই আমাকে অনুরোধ করে, মামুন ভাই আমাকে একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেন। কিছুই দিতে হবে না। নিজের টাকায় টিকিট কেটে সে মালয়েশিয়ায় গেছে। আমরা কিন্তু রানাকে টিকিট কেটে দেইনি। অথচ সেও মনে হয় অনেককে বিভ্রান্ত করেছে।

তারপর আমি পুলিশের কাছে যাই। পুলিশ আমাদের বলে, তোমাদের কমিউনিটি (বাঙালি) থেকে এরকম একটা অভিযোগ করা হয়েছে যে, তোমরা এখানে ই-লিগ্যাল পাসপোর্ট এবং ই-লিগ্যাল ভিসায় আসছো। সুতরাং এটার তদন্ত করব। আমি যখন থানায় গেছি তখন রাত ৮টা কিংবা ৯টাই। আর ঘটনার সূত্রপাত বেলা ১২টার দিকে। ফলে আমার হাতে কিন্তু ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা সময় ছিল। কিন্তু যদি এসব ই-লিগ্যাল হতো আমি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সোজা বিমানবন্দর গিয়ে একটা টিকিট কেটে ঢাকায় ফিরতে পারতাম। আমি কিন্তু ওইটা করিনি, কারণ আমার মধ্যে ওই রকম কিছুই ছিল না। কারণ আমার প্রত্যেকটা কাগজ সম্পূর্ণ বৈধ-এখানে ইলিগ্যাল কিছু নেই। আমি থানায় যাওয়ার আগে আমাকে নিষেধ করা হয়েছিল যে মামুন ভাই আপনি যাবেন না, বর্তমানে মালয়েশিয়া পুলিশ কিন্তু এরকম ঝামেলা করতেছে। 

কিন্তু আমি আর্টিস্টদের কথা ভেবে গেছি। আর তারাই ঢাকায় ফিরে বড় বড় কথা বলতেছে।  আর আমি না যাওয়া মানে, আমরা সত্যি অপরাধ করছি, আর একারণে আমি পালিয়েছি। আমি পুলিশের কাছে গেলাম, পুলিশ আ্মাকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করলো। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টাই এড়িয়ে গেল। এরপর আমি মানব পাচারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করছি বলে ছড়িয়ে পড়লো। এর প্রমাণ কি কেউ দেখাতে পারবে? এরপর পুলিশ ১৪ দিনের একটা রিমান্ড নেয়। এই রিমান্ড আর বাংলাদেশের রিমান্ড এক নয়। রিমান্ড মানে মারা না কিংবা কাটা না। মানে এই ১৪ দিনে তারা আমাদের কাগজপত্র বৈধ কিনা এইসব বিষয় পরীক্ষা করবে। ১৪ দিন পরে তারা মামলা কোর্টে উঠাবে এবং কোর্টে রিপোর্ট পেশ করবে। এরপর কোর্ট যদি মনে করে অন্যায়কারী, তাহলে শাস্তি দেবে। আবার যদি মনে করে নির্দোষ, তাহলে মুক্তি দেবে। এটা মালয়েশিয়ার বিচার প্রক্রিয়া এবং এই ১৪ দিন কোনো আত্মীয় স্বজন ও আইনজীবী যোগাযোগ করতে পারবে না।

তারপর যেটা হলো, তিনদিন পর আই-ও (তদন্ত কর্মকর্তা) অফিসার এসে প্রত্যেকটা জিনিস চেক করলো। এরপর একটা কথাই বললো, তোমাদের অনেকেই না বুঝে লাফালাফি করেছে। আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা মালয়েশিয়ার নীতি। এটা তারা করতেই পারে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, নেপাল বলো, ভারত বলো কিংবা ভিয়েতনাম বলো ইন্দোনেশিয়া বলো সবদেশের মানুষকে আমরা এভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করি, এটা মালয়েশিয়ার নিজস্ব পলিসি। আমরা তোমাদের দোষী সাব্যস্ত করেনি।  

সবচেয়ে বড় কথা, তারা কিন্তু আমাদের ব্ল্যাকলিস্টেড বা নিয়মানুযায়ী ১৪ দিন পর যে কোর্টে তোলার কথা সেটাও করেনি। পুলিশ বললো তোমাদের তো দোষ খুঁজে পাচ্ছি না তা কীভাবে কোর্টে তুলবো। আর তুলেই বা কি বলব। একটা জায়গা তাদেরকে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে সেটা হলো আমাদের প্রত্যেকটা আর্টিস্টদের রিটার্ন টিকিট ছিল। প্রত্যোকটা লোকের বৈধ ভিসা ছিল। কারণ আমি যদি রিটার্ন টিকিট ক্রস করি তাহলে আপনি আমাকে গ্রেফতার করতে পারেন, এর আগে তারা আমাদের গ্রেফতার পারে না। সেই যুক্তিতে তারা আমাদের ছেড়ে দিছে। তাদের বাংলাদেশ দূতাবাসে একটা পেসার পাঠানোর কথা, যে সন্দেহবশত তাদের গ্রেফতার করছিলাম তাদের বিরুদ্ধে সে ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। আসলে এরকম কোনো কিছু করেনি। 

সবশেষ পুলিশ আমাদের বলছে, কেউ একজন তোমাদের উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই হয়রানি করার জন্য এটা করেছে। সবার একটা ধারণা ছিল, আমি একটা শো করে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি লাভ করছি। তাই তারা আমার কাছে টাকা দাবি করছিল। তারা ধারণা করেছিল স্পন্সর কোম্পানিকে জব্দ করতে পারি তাহলে একটা মোটা অংকের টাকা পেতে পারি। কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হওয়ার পর ওই পক্ষটি চিন্তা করে পরবর্তীতে আমরা যাতে শো করতে না পারি, একটা হয়রানি করানো। আর যারা এটা প্লান করে করেছে, পুলিশ তদন্ত করছে সেটা বের হবে। কিন্তু আমার কথা আমি হেরে যাওয়ার মানুষ না। সব কাগজপত্র রেডি করতেছি, এপ্রিলে আবারও বড় একটি শো করবো মালয়েশিয়ায় ।

গো নিউজ২৪/জাবু

বিনোদন বিভাগের আরো খবর
বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী