ঢাকা: ধর্ম-কর্মের প্রতি ঝোঁক থেকে শোবিজ অঙ্গন ছেড়ে গেছেন এমন তারকা খুঁজলে বিশ্বের সব সিনে-ইন্ডাস্ট্রিতে পাওয়া যাবে অসংখ্য। ঢাকাই চলচ্চিত্রেও এই দৃশ্য হরহামেশা চোখে পড়ে। এর সদ্য দৃষ্টান্ত মডেল অভিনেত্রী ও আইটেম গার্ল খ্যাত নাজনিন আক্তার হ্যাপী। এবার তারই পথ ধরে ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করে শোবিজকে বিদায় বললেন ‘অশ্লীল যুগের রানী’ খ্যাত চিত্রনায়িকা ময়ূরী!
ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে খবরে আসেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপী। এরপর মিউজিক ভিডিও থেকে শুরু করে সিনেমায় অভিনয় ও আইটেম গানে পর্যন্ত নেচে আলোচিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ ধর্মের প্রতি মনোযোগি হয়ে সবকিছু ছেড়ে বিয়েও করেন এক ধার্মিক পণ্ডিতকে। এখন তার জীবন চলে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে। আর তারই জীবনের সঙ্গে মিলে গেলো অশ্লীল যুগে দাপিয়ে বেঁড়ানো চিত্রনায়িকা ময়ূরীর জীবনও। কারণ তিনিও একজন ধার্মিক ব্যক্তিকে বিয়ে করে শোবিজকে ‘বিদায়’ বলেছেন!
বেশকিছুদিন ধরেই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না চিত্রনায়িকা ময়ূরীর। তবে মাদরাসার এক শিক্ষককে বিয়ে করে হঠাৎ খবরে এলেন তিনি। যে খবরে ফের আলোচনায় এই চিত্রনায়িকা। স্বামীর নাম মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ। যিনি পেশায় একজন মাদরাসার শিক্ষক। জানা গেছে, বর্তমানে নতুন স্বামীকে নিয়ে সুখেই আছেন ময়ূরী।
একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ময়ূরীর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় মাস তিনেক আগে। এরপর জুয়েলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের দেড় মাসের মধ্যে জুয়েলকে বিয়ে করেন ময়ূরী। নতুন স্বামীর সঙ্গে সুখের দাম্পত্য পেতেছেন টঙ্গীতে। সঙ্গে রয়েছে ময়ূরীর আগের ঘরের একমাত্র কন্যা অ্যাঞ্জেল।
ওই সূত্র আরও জানায়, ‘ময়ূরী সারাজীবনের রোজগার দিয়ে মগবাজারে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে টঙ্গিতে স্থায়ী হয়েছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয় না করলেও কয়েক মাস আগ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সার্কাস কিংবা কনসার্টে পারফর্ম করতেন। বর্তমানে তাও ছেড়ে সংসারী হয়েছেন। নতুন স্বামী নিয়ে ময়ূরী ভালো আছেন।
অন্যদিকে ধর্মীয় জীবনে সুখেই আছেন চিত্রনায়িকা হ্যাপী। তিনিও ধার্মিক স্বামীর সঙ্গে সুখেই জীবন যাপন করছেন। ক’দিন আগেই সিনেমাপাড়ার নোংরামির কথা তুলে ধরে নাজনিন আক্তার হ্যাপী বলেন, সিনেমাপাড়ায়,মিডিয়াপাড়ায় ক্যামেরার সামনে-পেছনে কতরকম নোংরামি চলে তা তো সবার কম বেশি জানা। আজকের এই রূপ কয়দিন?এই রূপ দিয়ে কোটি কোটি পুরুষের রাতের ঘুম হারাম করাই শুধু সম্ভব, একজন জান্নাতি জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়! আমিও ছিলাম তোমাদের কাতারে! রূপ-যৌবন তোমাদের চেয়ে কম ছিল না। জান্নাত পাবো কিনা জানিনা। তবে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়ার এই জঘন্য অন্ধকার পথ থেকে আল্লাহ আমাকে ফিরিয়ে এনেছেন আলহামদুলিল্লাহ! এখন তাই আশা করার সাহস করি, হয়ত আল্লাহ জাহান্নাম থেকে হেফাযত করবেন।
গো নিউজ/এমটিএল