অনেকদিন ধরেই পরীমনি ও শরীফুল রাজের সংসারে টানাপোড়েন চলছিল। এই মেঘ এই রোদের মতো ভাঙাগড়ার খবরে আলোচনায় ছিলেন তারা। এবার জানা গেল, এই দম্পতি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন। চিত্রনায়িকা পরীমনি অভিনেতা শরীফুল রাজকে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন।
গণমাধ্যমের হাতে সেই তালাকের কপি এসে পৌঁছেছে। তবে এ নিয়ে পরীমনি ও রাজ কেউই মুখ খুলছেন না।
গেল ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠানের পর ২২ জানুয়ারি ১০১ টাকা দেনমোহরে পরীমনিকে বিয়ে করেন শরীফুল রাজ।
অতিথির তালিকায় ছিলেন তিন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী ও রেদওয়ান রনি। সঙ্গে দুই পরিবারের স্বজনরা।
এদিকে প্রসঙ্গটি নিয়ে রাজের ঘনিষ্ঠজন বলছেন, নায়ক এখন ব্যস্ত আছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ সিনেমার শুটিংয়ে। পরীর ডিভোর্স লেটার পাঠানোর খবর তার কানে গেলেও হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না।
মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন রাজ-পরী। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। অতঃপর অম্ল-মধুর গল্পে দ্বৈত পথচলা। তবে সেই পথে বারবার হোঁচট খেয়েছে তাদের সম্পর্ক। কখনও বিদ্যা সিনহা মিম, কখনও সুনেরাহ বিনতে কামালকে ঘিরে রাজের সঙ্গে পরীর তুলকালাম হয়েছে।
সবশেষ গত ২০ মে পরীমণির বাসা থেকে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে আসেন রাজ। এরপর ২৯ মে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুনেরাহ, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে বেশ কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ফাঁস হয়। সেই ঘটনায় দুজনের মধ্যে দূরত্বের দেয়াল আরও পোক্ত হয়। ছেলেকে ঘিরে তাদের পুনরায় একসঙ্গে দেখা গেলেও সম্পর্কের সুতো আর জোড়া লাগেনি।
গেলো বছরের ১০ আগস্ট পরী ও রাজের ঘর আলো করে আসে পুত্র শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। তাকে ঘিরেই আপাতত পরীর জীবন।