এক সময় প্রাইমাররি গণ্ডি অতিক্রম করতে পারবেন কিনা, এ নিয়ে ছিলো পরিবারের সন্দেহ।সেই ছেলেটি যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির ডাক পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি’র জন্য আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়াতে। নাম খায়রুল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্টে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০১৫ সালের আগস্টে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
খায়রুলকে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে- ওয়াশিংটন ডিসির হওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি-পুরডু ইউনিভার্সিটি ইন্ডিয়াপোলিস, জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, উয়েনে স্টেট ইউনিভার্সিটি ইন মিশিগান, সাউদার্ন ইলিনইস ইউনিভার্সিটি ইন কারবনডেলে, বোউলিং গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটি ইন ওহাইয়ো এবং ইউনিভার্সিটি অব মেমপহিস ইন টেনেসি।
যুক্তরাস্ট্রের সাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ায় উচ্ছ্বাসি খাইরুল ইসলাম।এমন খুশির সংবাদের মুহুর্তে খায়রুলের মনে পড়ে অতীতের কথা।তার কথায় উঠে আসে তার পড়াশুনার সূচনা।এক সময় প্রাইমারির গণ্ডি অতিক্রম করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে ছিলো পরিবারের সন্দেহ।
খায়রুলের ভাষায়, ‘একটা সময় আমি স্কুলের গণ্ডি পার করতে পারবো কিনা সে সন্দেহ ছিল পরিবারের। আর এখন সেই আমি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের সেরা সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি!’
অভিভূত খায়রুল আরো বলেন, ‘আমার পরিবারের জন্য এটি একটি অনেক বড় খুশির সংবাদ।’
ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে খায়রুল জানান, ‘পিএইচডিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়কে বেছে নেবো আমি। জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ও ভোক্তাদের মধ্যে যে শূন্যতা বিদ্যমান বিষয়ে গবেষণা করব।’
খায়রুল যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার অব সায়েন্স (এমএস) ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে অ্যাডজানক্ট ইনস্ট্রাকটর হিসেবে যোগদান করেন।
গোনিউজ২৪/এএস
