ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পরীক্ষার হলে পাঠানোর সময় প্রশ্ন ফাঁস হয় : পুলিশ


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮, ০৪:১৭ পিএম আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮, ১০:১৮ এএম
পরীক্ষার হলে পাঠানোর সময় প্রশ্ন ফাঁস হয় : পুলিশ

ঢাকা : পরীক্ষার হলে প্রশ্ন পাঠানোর সময় একটি পক্ষ প্রশ্নের ছবি তুলে প্রশ্ন ফাঁস চক্রটির কাছে পাঠিয়ে দেয় আর পরীক্ষার আগের রাতে যেসব প্রশ্ন সামাজিক মাধ্যমে আসে, সেগুলো ভুয়া বলে জানালো পুলিশ।

সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে দেয়ায় যারা কাজ করেন এমন ১৪ জনকে শনিবার রাতে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাদের কাছে যারা প্রশ্ন পাঠায়, তাদেরকে এখনো ধরতে বা শনাক্ত করতে পারেনি বাহিনীটি।

রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন আসার প্রক্রিয়া তুলে ধরেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।

তিনি বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রশ্ন ফাঁসকারীদেরকে ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাতেনাতে ধরা পড়েছে পরীক্ষার্থী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র, স্কুল শিক্ষক, মাদ্রাসা শিক্ষক, কলেজ ছাত্র, অভিভাবক এমনকি ব্যাংকার। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো চক্রটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।

গত রাতে যে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে, তারা হলেন রাহাত ইসলাম, মো. সালাহউদ্দিন, মো. সুজন, জাহিদ হোসেন, সুফল রায় ওরফে শাওন, আল-আমিন, সাইদুল ইসলাম, আবির ইসলাম নোমান, আমান উল্লাহ, বরকত উল্লাহ্, আহসান উল্লাহ্, শাহাদাৎ হোসেন ওরফে স্বপন, ফাহিম ইসলাম এবং তাহসিব রহমান।

এদের মধ্যে আমান উল্লাহ, আহসান উল্লাহ্ এবং বরকত উল্লাহ তিন ভাই। ফেসবুকে যারা প্রশ্ন দেয়ার ‘বিজ্ঞাপন’ প্রচার করতেন, তাদের মধ্যে এই তিনজন আছেন বলে দাবি পুলিশের। এই তিনজনের মধ্যে আহসান সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘আসামিরা পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করে। পরদিন পরীক্ষা শুরুর ৩০-৪০ মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন সংগ্রহ করে। সেগুলো ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ইমো এবং হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এর বিনিময়ে তারা বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে একেকজনের কাছ থেকে ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা করে আদায় করে।

কাদের মাধ্যমে এরা প্রশ্ন পায়-এমন প্রশ্নে ডিবি কর্মকর্তা বাতেন বলেন, প্রশ্ন যখন পরীক্ষার হলে পাঠানো হয়, তখন ওই সময়টাতে কেউ এর ছবি তুলে আসামিদের পাঠায়। এই সময়টা পরীক্ষার ৩০-৪০ মিনিট আগে।

কিন্তু এর আগেও তো সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মিলেছে- একজন গণমাধ্যম কর্মীর এমন এমন প্রশ্নে বাতেন বলেন, ‘সেগুলো ভুয়া প্রশ্ন।

কিন্তু গণিত প্রশ্ন ফেসবুকে এসেছে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে। এত সকালে কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানোর তো কথা না। তাহলে এই প্রশ্ন কীভাবে এলো- এমন প্রশ্নে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

পরীক্ষার কেন্দ্রে পাঠানোর সময় কারা প্রশ্নের ছবি তুলে তা ফাঁস করছে- এমন প্রশ্নে বাতেন বলেন, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে যাওয়া খুব কঠিন।

গো নিউজ২৪/আই

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর
রমজান মাসের কোন কোন দিন প্রাইমারিসহ স্কুল-কলেজ খোলা থাকবে

রমজান মাসের কোন কোন দিন প্রাইমারিসহ স্কুল-কলেজ খোলা থাকবে

‘শরীফার গল্প’ রেখেই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বইয়ে হবে সংশোধন

‘শরীফার গল্প’ রেখেই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বইয়ে হবে সংশোধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য হলেন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য হলেন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার

‍‍`শরিফ থেকে শরিফা‍‍` ইস্যুতে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

‍‍`শরিফ থেকে শরিফা‍‍` ইস্যুতে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

৫ জেলার স্কুল বন্ধ

৫ জেলার স্কুল বন্ধ

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি কি বাতিল, যা জানা গেল

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি কি বাতিল, যা জানা গেল