বেরোবি (রংপুর): বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এখন পর্যন্ত ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দশ হাজারের কাছাকাছি (৯৫১৮ জন)। প্রতিদিনই ক্লাসে আসছে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছাত্র। এর ওপর শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা সাত শতাধিক।
সবমিলিয়ে চার হাজারের বেশি শিক্ষাক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর কেউ বাইসাইকেল, কেউ বা মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে- এতোসব নিজস্ব যানবাহনের কোনোই নিরাপত্তা নেই। যেকোনো সময় চুরির আশঙ্কা নিয়ে অফিস আর ক্লাস করতে হচ্ছে যানবাহন মালিকদের। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নির্দিষ্ট গ্যারেজ না থাকায় দুশ্চিন্তা মাথায় করে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভবনের পাশে কিংবা সামনে পার্ক করতে হয় এসব নিজস্ব যানবাহন।
পার্ক করা সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায়ই ক্যাম্পাস থেকে সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। গ্যারেজ না থাকার কারণেই ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তরা ওঁৎ পেতে এসব যানবাহন চুরির চেষ্টা করে বলে জানালেন অনেক শিক্ষার্থী।
অনেক শিক্ষার্থীরই অভিযোগ, ভবনের সামনে এসব যানবাহন যত্রতত্র পার্কিং করার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হয়।
গেল ২০১৬ সালের শুরুতে মোটরসাইকেল নিখোঁজ সংক্রান্ত এক সমস্যার মুখে পড়েন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. ইমদাদুল হক। তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্যারেজ না থাকায় সবাই একাডেমিক ভবনের সামনে নিজেদের গাড়ি পার্কিং করে। ফলে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়; যেটা দুঃখজনক। একই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয় বলেও দাবি করলেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আরো জানালেন, গ্যারেজ না থাকায় একজনের গাড়ি ভুল করে আরেকজন নিয়ে যান। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যে ঘটনা তার নিজের ক্ষেত্রেও ঘটেছিল।
সূত্রমতে, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ৩ ও ৪ এর মাঝামাঝি একটি গ্যারেজ ছিল যেটা একবার ঝড়ে উড়ে যাওয়ার পর আর নতুন করে কোনো গ্যারেজ নির্মাণ করা হয়নি।
এক শিক্ষার্থী দুঃখ করে বললেন, ‘আমার একটি পার্সোনাল মোটরসাইকেল আছে। শুধু গ্যারেজ না থাকার কারণেই মোটরসাইকেল রেখে রিকশা বা অটোরিকশায় করে যাতায়াত করি।
বেরোবি উপাচার্যের নিজস্ব সচিব মো. আমিনুর রহমান জানালেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পেছনের দিকে একটি গ্যারেজ তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এটি তৈরি হলে গ্যারেজ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা করছেন।
গোনিউজ/এন