ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে সমস্যায় পড়ছে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তরা


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২০, ০৯:৪৯ এএম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে সমস্যায় পড়ছে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তরা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি মধ্যবিত্তদের সবচেয়ে বিপদে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট্য অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্রে বাজার পরিস্থিতি এমন হতে পারে না।’

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি বাজার পরিস্থিতির যে স্বাভাবিকতা, তা বর্তমানে আছে বলে মনে করি না। মানুষ দিশেহারা। মধ্যবিত্তরা এই পরিস্থিতির মধ্যে সবচেয়ে বিপদে। নিম্নবিত্তদের দুঃখ-কষ্ট সয়ে নেয়ার মানসিকতা আছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে তারা সামলে নিতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে উচ্চবিত্তারা আরও সুবিধা পাচ্ছে। তাদের কিছুই যায়-আসে না। সমস্যায় পড়ছে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তরা।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কমেনি। বরং গত ক’বছরে তাদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। অপরদিকে বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমেছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। এমন মানুষদের জীবনে ছন্দপতন ঘটছে প্রতিনিয়ত। বিপদে মূলত এই ব্যক্তিরাই। মানুষের এই দুঃখবোধ, রাষ্ট্র-সমাজ ধারণ করতে পারছে না। যে কারণে বাজার পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ছে।

এই বিশ্লেষক বলেন, মূলত মূল্যস্ফীতি বাড়লে আর চাহিদার তুলনায় যোগান না থাকলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। সেই বৃদ্ধিরও মাত্রা থাকে। মূল্যস্ফীতি বাড়লে আলুর কেজি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা হতে পারে। কিন্তু ৫০ টাকা কেজি হলে তা আর স্বাভাবিক থাকে না। ৫০ টাকা হলে বাজার বিশেষ সিন্ডিকেটের দখলে চলে যায়। এখন তাই হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিশেষ কারসাজি করার কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

কেন দ্রব্যমূল্যে বাড়ছে, তা নিয়ে সরকারের মনিটরিং নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর চাঁদাবাজির কারণে যে মূল্য বাড়ে এবং এই বিষয়টি চাইলেই সরকার সমাধান করতে পারে অথচ আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেখছি না।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জিডিপি বৃদ্ধি, রফতানি আয় বৃদ্ধি, উন্নয়ন হলেই সমতা ফেরে না। কল্যাণমুখি উন্নয়ন, অর্থনীতির জন্য সামগ্রিক উন্নয়ন জরুরি। আর সামাজিক অস্থিরতা তো বাড়ে আয়ের অসমতা থেকেও। মানবিক উন্নয়ন না ঘটলে বাজার পরিস্থিতি যেমন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তেমনি ধর্ষণের মতো অপরাধও কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর
৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল

৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল

১৪ বছর আগে একীভূত হয়েও এখনো ধুঁকছে যে ব্যাংক

১৪ বছর আগে একীভূত হয়েও এখনো ধুঁকছে যে ব্যাংক

রেড জোনে থাকা ‘বেসিক ব্যাংক’ যাবে কার সঙ্গে?

রেড জোনে থাকা ‘বেসিক ব্যাংক’ যাবে কার সঙ্গে?

বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিদেশি ঋণ, পরিশোধ হবে যেভাবে

বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিদেশি ঋণ, পরিশোধ হবে যেভাবে

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?