মেহেরপুর: ফলন বেশি হলেও হাসি নেই মেহেরপুরের পেঁয়াজচাষিদের মুখে। মৌসুমের শুরুতে দাম কম পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।
বিভিন্নি গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে হচ্ছে_ পেঁয়াজ কিনবেন গো পেয়াজ! ১০০ টাকায় ১০ কেজি। ২০০ টাকার কিনলে পাচ্ছেন ২২ কেজি। এছাড়াও বিভিন্ন অফারে বিক্রি করা হচ্ছে কৃষকের উৎপাদিত সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পেঁয়াজ কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ চাষ করে লাভ আসছিল চাষিদের ঘরে। গত বছর মৌসুমের শুরুতে তারা প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। কিন্তু এবার চিত্র একেবারে উল্টো।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রমিক দিয়ে জমি থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে খরচ না ওঠায় অনেকে পেঁয়াজ তুলছেন না। এক বিঘা জমিতে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ চাষে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর ফলন পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ মণ।
এ ব্যাপারে মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি হাফিজুল ইসলাম বলেন, গত বছর শুরুতে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা মণ দরে, এবার বিক্রি করতে হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দামে। খরচ উঠতেই হিমশিম, লাভ কীভাবে হবে।
একই এলাকার চাষি আমজাদ হোসেন জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে না। বাজারে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে খরচ বাদে চাষির ঘরে কোনো টাকা আসছে না।
এদিকে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান বলছে, বর্তমানে পেঁয়াজের কাঙ্খিত উৎপাদন হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদিত ফসলের মুল্য তুলনা মুলক কম হয়। বর্তমান বাজার নিয়ে কৃষি বিভিগের কিছুই করার নেই, তবুও এ পেঁয়াজের চারা বিক্রি করেও ভাল মুল্য পেয়েছে কৃষকরা। সব মিলিয়ে চাষীদের বেশি লোকসান হবে না বলে দাবি এ কর্মকর্তার। এছাড়া পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরামর্শ দেন তিনি।
গো নিউজ২৪/এমআর