ঢাকা: কোরবানির ঈদের আর বাকি মাত্র ছয় দিন। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। তবে বেচা-কেনা শুরু না হলেও চলছে প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে কোরবানির পশু কিনতে হাটে ঢুঁ-মারা শুরু করেছেন অনেকেই।
অন্যদিকে হাটের ঝক্কিঝামেলা এড়াতে কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন ওজনে বিক্রি হচ্ছে এমন গরুর ফার্মে। নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও দেলপাড়াসহ শহরের বেশ কয়েকটি গরুর খামারে ওজনে বেচাকেনা হচ্ছে কোরবানির পশু।
আরো পড়ুন: ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা করা গরু চিনবেন যেভাবে
গত বছর ২/৩টি ফার্মে এই পদ্ধতিতে গরু বেচাকেনা হয়েছিল। এ বছর আরো বেশ কয়েকটি ফার্মে এ পদ্ধতিতে গরু বেচাকেনা হচ্ছে। ৩৩০টাকা থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু। আবার বড় গরু বেচাকেনা হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে।
এদিকে বিক্রেতাদের দাবি, এই পদ্ধতিতে মোট ওজনের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ গরুর মাংস পাওয়া যাবে। তারা জানান, প্রতিদিনই এসব গরুর খামারগুলোতে আগ্রহী ক্রেতারা তাদের স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসছেন এবং ঘুরে ঘুরে গরু দেখছেন। গরু পছন্দ হলে ওজন স্কেলে উঠিয়ে পরিমাণ দেখে বায়না করে খামারেই গরু রেখে যাচ্ছেন। ঈদের একদিন বা দুইদিন আগে গরু নিয়ে যাবেন।
অন্যদিকে খামারিরা জানান, ওজন স্কেলে গরু মেপে বেচাকেনার কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ঠকে যাওয়ার চিন্তা বা হারজিতের ভয়ের কোনও স্থান নেই। বেচাকেনায় দরদাম নিয়ে চেঁচামেচি করতে হচ্ছে না। আবার কোরবানিদাতা তার বাজেট অনুযায়ী সুস্থ-সবল পশু কিনতে পারছেন বলে তারাও খুশি। একজন ক্রেতা প্রয়োজন অনুযায়ী তার পছন্দের গরুটি কিনতে পারছেন।
গো নিউজ২৪/এমআর