ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যেসব ব্যাংকে টাকা রাখলে হারানোর সম্ভাবনা নেই


গো নিউজ২৪ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২৩, ১১:৩৮ এএম
যেসব ব্যাংকে টাকা রাখলে হারানোর সম্ভাবনা নেই

একসময় ব্যাংকের বিভিন্ন সূচক তথা ক্রেডিট রেটিং, ক্যামেলস রেটিং, মূলধন পরিস্থিতি, খেলাপি ঋণের হারসহ নানা বিষয় বিবেচনা করা হতো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাকার নিরাপত্তায় এসব সূচক গুরুত্ব হারিয়েছে। কারণ, দেশে রেটিং প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।

ফলে খারাপ ও দুর্বল ব্যাংকগুলোও ভালো রেটিং পাচ্ছে। আবার নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে আদায় না হলেও অনেক ঋণকে খেলাপি হিসেবে দেখাচ্ছে না কিছু ব্যাংক। ফলে কোন ব্যাংক ভালো, আর কোন ব্যাংক খারাপ, তা সহজে বলা খুব কঠিন। এদিকে দুর্বল ১৪টি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়ক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ১৪ ব্যাংকের বাইরে সব ব্যাংক যে ভালো, তা-ও বলা যাবে না।

কোন ব্যাংকে টাকা রাখবেন, তা বাছাইয়ে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন কয়েক ব্যাংকার। তারা বলছেন, গ্রাহকেরা টাকা জমানোর সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের দিকে খেয়াল রাখতে পারেন। যেই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাবমূর্তি যত বেশি স্বচ্ছ, সেই ব্যাংক ততটাই নিরাপদ। প্রতিটি ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পরিচালকদের নাম ও পরিচয় দেওয়া থাকে। পাশাপাশি কোন ব্যাংকের বড় গ্রাহক কারা, অর্থাৎ আমানতের টাকা ব্যাংক কাকে দিচ্ছে, তারও খোঁজ নিতে হবে।

ব্যাংকগুলো প্রতিবছর যে বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করে, সেই প্রতিবেদনে কয়েকজন শীর্ষ গ্রাহকের নাম ও ঋণের পরিমাণ উল্লেখ থাকে। পাশাপাশি যেই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ যতটা স্বচ্ছ, সেই ব্যাংকও ততটা ভালো। কারণ, দিন শেষে ব্যাংকের কর্মকর্তারাই পারে ব্যাংকটিকে ভালো রাখতে। আবার ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের পেশাদারত্ব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে জমানো টাকা নিরাপদ থাকতে পারে।

আর গ্রাহকদের মনে রাখা প্রয়োজন, যেই ব্যাংক আমানতে যত বেশি সুদ দেয়, সেই ব্যাংক ততটা দুর্বল। সেই ব্যাংক বেশি তারল্যসংকটে ভুগছে। এ কারণেই বেশি সুদ দিয়ে গ্রাহক থেকে টাকা আনার চেষ্টা করছে। এসব ব্যাংক বেশি সুদ দেবে ঠিকই, তবে একটা সময় পর আসল ফেরত পাওয়া নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।

এদিকে ব্যাংক খাত থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া নিয়ে যে গুজব রটেছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। মূলত এক বছরে ব্যাংকের হাতে থাকা অতিরিক্ত তারল্য প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। ডলার কেনা ও ঋণ দিতে গিয়ে ব্যাংকের হাতে থাকা টাকা কমে গেছে।

টাকা যেহেতু আপনার, তাই কষ্ট করে এসব খোঁজখবর নিজে নেওয়া ভালো। কারণ, কষ্টের টাকা আটকে গেলে বিপদ। আর টাকা সময়মতো না পেলে তার সঠিক মূল্য থাকে না।

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর
৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বাজারে এখন টাকা ও ডলার উভয় মুদ্রার সংকট, অদল-বদল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বাজারে এখন টাকা ও ডলার উভয় মুদ্রার সংকট, অদল-বদল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের কারণে ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের কারণে ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি ৫০ টাকা আয়করের প্রস্তাব

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি ৫০ টাকা আয়করের প্রস্তাব

ব্যাংক পরিচালকদের সভায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী মাসে ৫০ হাজার টাকা

ব্যাংক পরিচালকদের সভায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী মাসে ৫০ হাজার টাকা