ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিলেট অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি পর্যালোচনা


গো নিউজ২৪ | বিএস প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১, ১২:৫২ পিএম
সিলেট অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি পর্যালোচনা

কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সঞ্চয়, বিনিয়োগ, উৎপাদনের সম্পর্ক রয়েছে। সঞ্চয়কে যদি উৎপাদনমুখী খাতে ব্যয় করা যায় তবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়, জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটে এবং এর মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 

সিলেট অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইতোপূর্বে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: আলীম ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, বারাকা পাওয়ার লিমিটেড, সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস্ লিমিটেড, এম. আহমেদ টি এবং ল্যান্ডস কোম্পানী লিমিটেড, খাদিম সিরামিক্স লিমিটেড, গোল্ডেন হারভেষ্ট ফুডস্ লিমিটেড, প্রিমিয়াম ফিশ এবং এ্যাগরো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, সানটেক এনার্জি লিমিটেড এবং সানটেক টায়ার লিমিটেড, কুশিয়ারা ব্রিকস্ লিমিটেড, অয়েস্টার পোলট্রি এবং ফিশারিজ লিমিটেড, সিলেট টি কোম্পানী  লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ১০,৬০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৬৩,০০০ জন অধিবাসী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল যা সিলেট অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই ১১টি প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে প্রায় ১০.৫ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা- র্কমচারীদের মধ্যে বিতরণ করছে যা সিলেট অঞ্চলের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। এছাড়াও  প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মকর্তা- র্কমচারীদের মধ্যে অন্যান্য সুযোগসুবিধা প্রদান করছে যার ব্যয় প্রতি মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকা। 

বর্তমানে সিলেট অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ আরোও ৭টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোকপাত করা হলো। এই ৭টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন প্রায় ৪,৩০০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সিলেট অঞ্চলের প্রায় ২২,০০০ জন অধিবাসী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল যা সিলেট অঞ্চলের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার আর্থিক পরিমাণ প্রতি মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকা। নিম্নে উক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের আলোচনা করা হলো:   

ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডঃ

সিলেটের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি এর সিলেট শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, মিষ্টিজাত দ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি ইত্যাদি উৎপাদন করে থাকে। উৎপাদিত দ্রব্যের সংখ্যা প্রায় ৪০০টি। ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড এর অফিস এবং কারখানাটি সিলেটের খাদিম নগরের বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত। প্লট নম্বর ৯/১০। প্রতিষ্ঠানটির অন্য একটি অফিস এবং কারখানা চট্টগ্রামের বাকুলিয়ায় অবিস্থত। সিলেটে ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড এর কার্যক্রম যথাক্রমে ২০০১ এবং ২০০৬ সালে শুরু হয়। সিলেটের খাদিমনগর বিসিক শিল্প নগরীর কারখানাটির আয়তন ৭২,০০০ বর্গ ফুট। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চট্টগ্রাম নিবাসী হাজী মোহাম্মদ শাহ আলম। অন্যান্য পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ১২ জন। সিলেট জোনের ডি.জি.এম হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া নিবাসী জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার। সমগ্র দেশে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান জনবল প্রায় ৯,০০০ জন। এর মাঝে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন প্রায় ১০০০ জন। সিলেট অঞ্চলে ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের সাথে সম্পৃক্ত আছেন প্রায় ১৫০০ জন এবং এর মাঝে কর্মকর্তার সংখ্যা ১৫০ জন এবং শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ১৩৫০ জন। 

প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘমেয়াদি মূলধন প্রায় ২০০ কোটি টাকা এবং মোট ঋণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। ঋণ-ইক্যুইটির অনুপাত ০.১০। সিলেট অঞ্চলে ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের সম্পত্তির পরিমান প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সিলেট অঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন দ্রব্য সিলেট বিভাগের সকল জেলায় সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও ময়মনসিংহ, বি-বাড়িয়া, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় সিলেটে উৎপাদিত ফুলকলি প্রোডাক্টস লিমিটেড এর বিভিন্ন দ্রব্য সরবরাহ করা হয়। সিলেট অঞ্চলে উৎপাদিত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিজাত দ্রব্য, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদি ভারত, সৌদি-আরব, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, নেপাল, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকায় রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত সুগন্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের রং সিঙ্গাপুর, চীন ও মালয়েশিয়া থেকে এবং মাখন মালয়েশিয়া এবং চীন থেকে আমদানী করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ ভারত এবং চীন থেকে আমদানী করে থাকে। শো-রুমের সংখ্যা সমগ্র দেশে ১২০টি এবং সিলেট বিভাগে ৩৯টি। প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের জন্য প্রভিডেন্ড ফান্ড, ঋণ ও সাহায্য, আহত/নিহতের/ অসুস্থদের জন্য ভাতা ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ইত্যাদিতে দান করে আসছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে ২০ জন প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহৎ প্রজেক্ট- এর জন্য জমি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। তেল, ডালডা, চিনি ইত্যাদি কাঁচামাল আনয়নের খরচ বৃদ্ধি প্রতিষ্ঠানটির একটি সমস্যা। এছাড়াও কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিষ্ঠানটির একটি সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র দেশে এবং সিলেট বিভাগে মিষ্টি, মিষ্টিজাত দ্রব্য, বিস্কুট, কেক, চানাচুর, প্রচুর পরিমাণে বিক্রয় করে থাকে। 
 

সিলেট ওয়েল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীঃ

২০০৬ সালে স্থাপিত সিলেট ওয়েল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী সিলেট অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি এক সময়ে বালাগঞ্জের গহরপুরে অবস্থিত ছিলো। ২০১২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি খাদিমনগরীর বিসিক শিল্প এলাকা থেকে উৎপাদন করে যাচ্ছে। বর্তমান প্লট নম্বর এস-৩৮ এবং বি-১১। প্রতিষ্ঠানটির জমির পরিমাণ প্রায় ৩৩ শতক। প্রতিষ্ঠানটি রান্নার জন্য বিভিন্ন ধরনের চুলা উৎপাদন করে সরাসরি ইংল্যান্ডে রপ্তানি করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যগুলো হলো- ১২ বার্নার চুলা, ১১ বার্নার চুলা, ৯  বার্নার চুলা, ৮ বার্নার চুলা, ৬ বার্নার চুলা এবং ৫ বার্নার চুলা । অন্যান্য উৎপাদিত দ্রব্যগুলো হলো স্টক পট কুকার, টানডুর বার্নার কুকার এবং বারবিকিউ কুকার । তবে দেশে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত চুলা এখনও পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়নি।  

প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী জনাব কয়ছর আহমেদ। জনাব কয়ছর আহমেদ এর পৈত্রিক নিবাস বালাগঞ্জের গহরপুর। কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত মাইল্ড স্টিল, এস.এস.স্টিল ইত্যাদি মূলত আনা হয়ে থাকে ঢাকার নবাবপুর এবং বংশাল এলাকা থেকে। এছাড়াও সিলেট এবং চট্টগ্রাম থেকেও কাঁচামাল আনা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত চুলা চট্টগ্রাম হয়ে ইংল্যান্ড যেতে সময় লাগে প্রায় ৪০ দিন। বর্তমানে সিলেট ওয়েল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীতে কর্মরত আছেন সর্বমোট ৪৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী। এর মাঝে ৫ জন কর্মকর্তা এবং ৪৩ জন কর্মচারী। প্রতিষ্ঠানটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে প্রতি মাসে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বেতন হিসেবে প্রদান করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা এবং বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার পণ্য ইংল্যান্ডে রপ্তানী করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির মূলধন কাঠামোতে কোন ঋণ নেই। প্রতিষ্ঠানটি নতুন নতুন পণ্যও উৎপাদন এবং রাজারজাতকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। 


স্বাদ এন্ড কোম্পানী লিমিটেডঃ

স্বাদ এন্ড কোম্পানী লিমিটেড সিলেট বিভাগের অন্যতম বৃহৎ মিষ্টি ও খাদ্যজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ফ্যাক্টরী সিলেটের শেখঘাটে এবং গোটাটিকর বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় অফিস সিলেটের শেখঘাট এলাকায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে মোট পরিচালকের সংখ্যা ২০ জন হলেও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শেখঘাট এলাকা নিবাসী জনাব নুরুল আলম। স্বাদ এন্ড কোম্পনী লিমিটেড প্রায় ৭০ ধরণের মিষ্টি, দই, ফাস্ট ফুড আইটেম, বিভিন্ন ধরণের বিস্কুট, পাউরুটি, চানাচুর ইত্যাদি উৎপাদন করে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় করে। মোট শো-রুমের সংখ্যা ৬০টি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক আব্দুন হান্নান। স্বাদ এন্ড কোম্পানী লিমিটেডের মোট জনবল ৬০০ জন। এদের মাঝে ৩০ জন কর্মকর্তা এবং ৫৭০ জন কর্মচারী। খাদিমনগরীর বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কারখানার আয়তন ১৫,০০০ বর্গফুট এবং শেখঘাটে অবস্থিত কারখানাটির আয়তন ৪০০০ বর্গ ফুট। প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় ব্যবহৃত ময়দা, চিনি, পাম ওয়েল, মার্জারিন, বাটার ইত্যাদি কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ময়দা সংগ্রহ করা হয় ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে এবং চিনি সংগ্রহ করা হয় সিলেট অঞ্চল থেকে। 

প্রতিষ্ঠানটিতে উৎপাদিত মিষ্টিচাত দ্রব্য ইতিমধ্যে কানাডায় রপ্তানী করা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশে উৎপাদিত দ্রব্য রপ্তানীর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চীন ও তাইওয়ান থেকে আমদানী করেছে। এছাড়াও অন্যান্য যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের তৈরি। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ৫০টি দরিদ্র পরিবারের পুরো বছরের ব্যয়ভাব বহন করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি দুঃস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। এতিম শিশুদের পড়াশোনার খরচ, গরীব ও অসহায়ের জন্য ঘর নির্মাণ ইত্যাদি জনকল্যাণমূলক কর্মকাÐের সাথে প্রতিষ্ঠানটি জড়িত। 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি মসলা, ড্রিংকিং ওয়াটার, জুস ইত্যাদি বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি বিদেশে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানী বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মাসিক বেতন প্রদান করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি টাকা। মূলধন কাঠামোর মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা ইক্যুইটি এবং ৮ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে। ঋণ-ইকুইটির অনুপাত ০.৫৩৩। দৈনিক বিক্রয়ের পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা, কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, নিরাপত্তাজণিত সমস্যা ইত্যাদিকে প্রতিষ্ঠানটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

এশিয়া ফুডঃ

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও এর ফায়স্ত গ্রামে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়া ফুড। এটি সিলেট অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরণের বিস্কুট (ড্রপার বিস্কুট, কুকিজ বিস্কুট), চানাচুর, পাউরুটি, বিভিন্ন ধরণের কেক ইত্যাদি সিলেট বিভাগের সিলেট জেলা, মৌলভীবাজার জেলা, সুনামগঞ্জ জেলা এবং জকিগঞ্জ জেলার সব থানাতে সরবরাহ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডায়রেক্টর হিসেবে জনাব সালেহ আহমেদ চৌধুরী দায়িত্ব পালন করছেন। ডিরেক্টর হিসেবে আছেন আরও ৫ জন। প্রতিষ্ঠানটির জমির পরিমাণ ১ একর। এশিয়া ফুড এর বিভিন্ন দ্রব্যের কাঁচামাল সাধারণত সিলেটের কালিঘাট এবং ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা হয়। উৎপন্ন বিভিন্ন দ্রব্য প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ৪টি গাড়ি এবং ভাড়া করা গাড়ীর মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা এবং মাসিক বিক্রয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। ৩ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদী মূলধনের মাঝে ঋণের পরিমাণ ১ কোটি। ঋণ-ইক্যুইটির অনুপাত ০.৩৩। প্রতিষ্ঠানটির মোট জনবল ১২৫ জন এবং এর মাঝে কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন ১৫ জন। এশিয়া ফুড এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতিমাসে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বেতন বাবদ প্রদান করে থাকে। এশিয়া ফুডের উৎপাদিত খাদ্যজাত দ্রব্যের মূল্য তুলনামূলক কম হবার ফলে গ্রামাঞ্চলে দ্রব্যগুলো বেশ জনপ্রিয় এবং প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে দ্রব্য সরবরাহ করতে চায়। 

বনফুল এন্ড কোম্পানী লিমিটেডঃ

মিষ্টি, মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং বিভিন্ন খাদ্যজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বনফুল এন্ড কোম্পানী সিলেট অঞ্চলের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। খাদিমনগর বিসিক শিল্প নগরীতে প্রতিষ্ঠানটির অফিস এবং কারখানা ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা একং কক্সবাজারে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছেন জনাব এম.এ. মোতালেব এবং ম্যানেজিং ডায়রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জনাব ওয়াহেদুল ইসলাম। তাছাড়াও ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বে আছেন আরও ৩ জন। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকা নিবাসী জনাব শাহীন আহমেদ ডায়রেক্টর হিসেবে রয়েছেন। বনফুলের সিলেট কারখানা থেকে প্রায় ১২০ ধরণের মিষ্টি, প্রায় ৭৫ ধরণের বিভিন্ন বিস্কুট এবং ১৫ ধরণের কেক প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। বনফুল এন্ড কোম্পানী লিমিটেডের সমগ্র বাংলাদেশে জনবল প্রায় ১০,০০০ এবং এর মাঝে কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন প্রায় ১০০০ জন। সিলেট জেলায় বনফুল এন্ড কোম্পানী লিমিটেড এর জনবল প্রায় ৩৫০ এবং এর মাঝে কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ৪০ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩১০ জন। 

সিলেট অঞ্চলের বনফুলের কারখানাটির আয়তন ৭৪,০০০ বর্গ ফুট। সমগ্র বাংলাদেশে বনফুল এন্ড কোম্পানী লিমিটেড এর শো-রুম রয়েছে ২৫১টি। এবং এর মাঝে সিলেট বিভাগে শো-রুম রয়েছে ৪৩টি এবং সিলেট জেলাতে রয়েছে ২৫টি। সিলেট অঞ্চলের কারখানায় উৎপাদিত মিষ্টি এভং মিষ্টিজাত দ্রব্য বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। সিলেট বনফুলের কারখানায় উৎপাদিত বিভিন্ন ধরণের বিস্কুট ভারতের আসাম, মেঘালয় এবং কলিকাতায় সরবরাহ করা হয়। তাছাড়াও উৎপাদিত বিভিন্ন ধরণের বিস্কুট সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত এবং ইংল্যান্ডে রপ্তানী হয়ে থাকে। সিলেট অঞ্চলের বনফুলের কারখানায় উৎপাদিত দ্রব্যের কাঁচামাল (ময়দা, চিনি, ডালডা) ইত্যাদি মূলত ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে সংগ্রহ করা হয়। গরুর দুধ সংগ্রহ করা হয় সিলেট থেকে। উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত মার্জারিন, বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল, রং ইত্যাদি মালোয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর থেকে আমদানী করা হয়। প্রায় ৩৩ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে অসহায় এবং দুঃস্থদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য প্রোভিডেন্ড ফান্ড, বোনাস ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছে। 

বনফুল এন্ড কোম্পানী লিমিটেডের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ইটালী, চীন এবং ভারত থেকে আমদানী করা হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত বনফুল এন্ড কোং লিমিটেড এর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মূলধন কাঠামোতে ব্যাংক ঋণ রয়েছে। সিলেটের কারখানার মাধ্যমে উৎপাদিত বিভিন্ন মিষ্টি, মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং বিস্কুটের দৈনিক বিক্রয়ের পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ। উচ্চ পরিবহন ব্যয় এবং কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিষ্ঠানটির সমস্যা বলে বিবেচিত হচ্ছে। 

নিনা-আফজাল ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেডঃ

১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত নিনা-আফজাল ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেড সিলেট অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চা উৎপাদন এবং বিক্রয়ের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সিলেট অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জনাব মরহুম মামুনুর রশীদ চৌধুরী। নিনা-আফজাল ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় আম্বরখানার ইলেকট্রিক সাপ্লাই সড়কে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর প্রায় ৬ লক্ষ কে.জি বø্যাক টি উৎপাদন করে। উৎপাদিত চা চট্টগ্রামের ইউনিটি ব্রোকার লিমিটেড, প্রোডিউস ব্রোকার লিমিটেড এবং বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের শ্রীমঙ্গল ব্রোকার লিমিটেড, জালালাবাদ ব্রোকার লিমিটেড এবং রূপসী বাংলা ব্রোকার লিমিটেডের মাধ্যমে চট্টগ্রাম এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে নিলামে বিক্রয় করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জনাব আফজাল রশিদ চৌধুরী। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছেন মিসেস নুরুন নেসা চৌধুরী।

সিলেট সদরের খাদিম চা বাগান এবং গোয়াইনঘাটের গুলনী চা বাগানের মাধ্যমে চা পাতা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ফ্যাক্টরী খাদিম চা বাগানের মাঝে অবস্থিত। পর্যাপ্ত গ্যাসের অভাবে বর্তমানে গুলনী চা বাগানের ফ্যাক্টরীটি বন্ধ রয়েছে। দুটি চা বাগানের আয়তন ৩৬২৯.৬০ একর এবং চা উৎপাদন হচ্ছে ১৬৭০.০৪ একর জমিতে। খাদিম চা বাগানের ফ্যাক্টরীর আয়তন প্রায় ৩ একর এবং গুলনী চা বাগানের ফ্যাক্টরীটির আয়তনও প্রায় ৩ একর। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী চা শ্রমিকের সংখ্যা ৮৭৩ জন এবং অস্থায়ী চা শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩২৮ জন। কর্তকর্তার সংখ্যা মোট ৫ জন। প্রতিষ্ঠানটির বাৎসরিক বিক্রয়ের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা কর্মকর্তা এবং শ্রমিকদেরকে প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি কর্মকর্তা এবং শ্রমিকদের জন্য বোনাস, প্রোভিডেন্ড ফান্ড, চিকিৎসা সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে মাদ্রাসা, মসজিদে দান করে থাকে। নিনা-আফজাল ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেড চায়ের উৎপাদন এবং মান বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চায়ের বিক্রয়মূল্য হ্রাসকে প্রতিষ্ঠানটি প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপনীঃ

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপনী সিলেট অঞ্চলের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। প্রতিষ্ঠানটির অফিস এবং ফ্যাক্টরী সিলেটের খাদিমনগর বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত। সিলেটের মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপনীর ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবে দায়িত্বে আছেন দুই ভাই জনাব মাহবুবুল আলম এবং জনাব দিদারুল আলম। মোট পার্টনার এর সংখ্যা ৯ জন। মধুবন এন্ড কোং নামক অন্য একটি প্রতিষ্ঠান এর কারখানা ঢাকা এবং চট্টগ্রামে রয়েছে। মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপনী এর ফ্যাক্টরীটির আয়তন ৩৩,০০০ বর্গ ফুট। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৭০ ধরণের মিষ্টি এবং মিষ্টিজাতদ্রব্য, প্রায় ৪০ ধরণের বিস্কুট এবং বিভিন্ন ধরণের পাউরুটির উৎপাদন করে। সিলেটের মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপনীর এর সাথে জড়িত মোট জনবল ৪০০ জন। এর মাঝে কর্মকর্তার সংখ্যা ৫০ জন এবং বাকী ৩৫০ জন কর্মচারী/শ্রমিক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে উৎপন্ন পণ্য মূলত বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। এছাড়াও খুলনা, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে উৎপাদিত মিষ্টিজাত দ্রব্য ও খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়। 

প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে উৎপাদিত দ্রব্য ভারতে ও ইংল্যান্ডে রপ্তানী করছে। ভারতের আসাম এবং মেঘালয়ে মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপনী এর উৎপাদিত খাদ্যজাত দ্রব্য পাওয়া যায়। উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত কাঁচামাল যেমন: ময়দা, আটা, চিনি, তেল, ডালডা, বাটার, ঘি ইত্যাদি চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট থেকে সংগ্রহ করা হয়। উৎপাদন কাজে ব্যবহত যন্ত্রাংশ চীন, ভারত ও বাংলাদেশের তৈরি। প্রতিষ্ঠানটিতে মোট শো-রুমের সংখ্যা ২৫টি। এর মাঝে সিলেট জেলায় রয়েছে ১৮টি শো-রুম এবং সুনামগঞ্জ জেলায় রয়েছে ৭টি শো-রুম। প্রতিষ্ঠানটির সাথে জড়িত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য বোনাস এর ব্যবস্থা করেচে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এবং ধর্মীয় কারণে প্রতিষ্ঠানটি এতিমখানা এবং মাদ্রাসায় দান করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির আরও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং শো-রুমের সংখ্যা বৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মধুবন অভিজাত মিষ্টি বিপনী এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি। মূলধন কাঠামো এর মাঝে ঋণ ৫ কোটি এবং ইক্যুইটি ৩ কোটি। মূলধন কাঠামোর মাঝে ৬২.৫% ঋণ এবং ৩৭.৫% ইক্যুইটি। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি জকিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারে এখনও পর্যন্ত শো-রুম নেই। প্রতিষ্ঠানটি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সরবরাহের অসুবিধা, নিরাপত্তাজণিত সমস্যা ইত্যাদিকে মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

 

ড. ফজলে এলাহী মোহাম্মদ ফয়সাল 
অধ্যাপক 
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ 
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর
৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বাজারে এখন টাকা ও ডলার উভয় মুদ্রার সংকট, অদল-বদল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বাজারে এখন টাকা ও ডলার উভয় মুদ্রার সংকট, অদল-বদল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের কারণে ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের কারণে ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি ৫০ টাকা আয়করের প্রস্তাব

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি ৫০ টাকা আয়করের প্রস্তাব

ব্যাংক পরিচালকদের সভায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী মাসে ৫০ হাজার টাকা

ব্যাংক পরিচালকদের সভায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী মাসে ৫০ হাজার টাকা