নড়াইলের কালিয়ায় স্বামীর নির্দেশে নিজ স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী রিপন মোল্যাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছোটন (২২), জেমস মোল্যা (১৯), জিন্নাত মোল্যা (২০) ও কালু মোল্যা (৩৫) এবং গৃহবধূর স্বামী রিপন মোল্যাকে মঙ্গলবার সকালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট-এর ৫৫, এমপি ইউনিটে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউচ গ্রামে গত রবিবার (২০ জুন) রাত ২টার দিকে রিপন মোল্যার বাড়িতে চারজন যুবক প্রবেশ করে। সে সময় ঘরে স্ত্রী, তিন সন্তানসহ প্রতিবেশী এক কিশোর উপস্থিত ছিলো। গৃহবধূ তাদেরকে ঘরে প্রবেশে বাধা দিলে মোবাইল ফোনে স্বামী রিপন তাদেরকে ঘরে ঢুকতে দিতে নির্দেশ দেন। এর পর তার সন্তানদের বের করে দিয়ে ওই কিশোর এবং গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ছবি তোলার নির্দেশ দেন রিপন মোল্ল্যা। চার যুবক মোবাইলে গৃহবধূর নানা ধরনের ছবি তুলে এবং এক পর্যায়ে পালাক্রমে তিনজন ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পরদিন রিপন মোল্ল্যা নিজ বাড়িতে ডাকাতির মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। ওইদিন রাত ১১টায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে কালিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ওই রাতেই রিপনসহ চার আসামিকে বিলবাউচ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর পেয়ে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনাবাহিনীর ৫৫, এমপি ইউনিট থেকে একটি টিম কালিয়ায় আসে। রাতে পুলিশ আটক সেনা সদস্য রিপন মোল্ল্যাকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। অন্য আসামিদের আদালতে প্রেরণ করে। বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভিকটিমের পরীক্ষা চলছে।
ওই নারীর দাবী, রাতে তার স্বামীর নির্দেশে তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্ষণকরীরা তার স্বামী রিপন মোল্যার আত্মীয়।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, আসামিদের ধরা সম্ভব হয়েছে। আশাকরি, ভিকটিম ন্যায়বিচার পাবেন। সেনা সদস্যের বিষয়ে তিনি বলেন, বাহিনীর সদস্য হলে নিয়ম অনুযায়ী যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাই করা হয়েছে।