বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১৬৮ বস্তা সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুদের অভিযোগে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানসহ (৫০) ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার ভাগশিমাল গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অপর ব্যক্তি হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমানের সহযোগী একই উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের মৃত কাজেম উদ্দিনের ছেলে আনসার আলী (৪৩)। তবে ওই কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত খাদ্য অধিদপ্তরের স্থানীয় ডিলার ভাগশিমলা গ্রামের আমজাদ আলী সরদারের ছেলে মিলন আলী সরদার পালিয়ে গেছে।
বগুড়ায় র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডারের কার্যালয়ে রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার বরাদ্দ করা ১০ টাকা কেজির চাল নন্দীগ্রামে কর্মহীন ও দুঃস্থদের মাঝে বিক্রি না করে একটি চক্র কালোবাজারির মাধ্যমে কিনে অবৈধভাবে মজুদ করছে বলে তাদের কাছে খবর ছিল। র্যাবের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার রওশন আলী জানান, গোপনে খবরটি পেয়ে শনিবার গভীর রাতে আনিছুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তখন তার বাড়িতে মজুদ করা অবস্থায় ১০ টাকা কেজি দরের ১৬৮ বস্তা চাল পাওয়া যায়। পরে ওই বাড়ি থেকে তাকে ও তার সহযোগী আনসার আলীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানকালে খাদ্য অধিদপ্তরের স্থানীয় ডিলার মিলন আলী সরদার কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহিম জানিয়েছেন, পলাতক ডিলার মিলন আলী সরদার তাদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। যে কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র প্রত্যেক পরিবারের কাছে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন, আমরাও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।
র্যাব বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার রওশন আলী বলেন, গ্রেফতার ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে বগুড়া ক্যাম্পের সহকারি পরিচালক (ডিএডি) সৈয়দ আলী বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গোনিউজ২৪/এন