চাঁদপুরের সেই রসু খাঁর মতো আরেক সিরিয়াল ধর্ষকের সন্ধান মিলেছে নারায়ণগঞ্জে। জসিমউদ্দিন রানা নামের এ যুবক বয়স মাত্র ২০ বছর বয়সেই ভয়ঙ্কর সব অপরাধ করেছেন একের পর এক। গত ৫ বছরে তিনি প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্তত অর্ধশত কিশোরী ও নারীকে ধর্ষণ করেছেন তিনি।
তাদের কারো কারো সঙ্গে বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে। পরে কলহ নিয়ে তাদেরও হত্যা করেন তিনি।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে অর্ধশত নারীকে ধর্ষণ ও কথিত স্ত্রীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন রানা।
এর আগে রূপগঞ্জে ভাড়া বাসায় কথিত স্ত্রীকে হত্যা করে তার গ্রামের বাড়ি পালিয়ে যায়।সেখান থেকে গতি ৫ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, ১৫ বছর বয়সে এক কিশোরিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন জসিম উদ্দিন রানা। এভাবে একের পর এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অপরাধে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। চার বছর ধরে পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন। কিন্তু তারপরও তিনি চারিত্রিকভাবে সংশোধন হয়নি। উল্টা তার অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার পদ্মা করমজাতলা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে এই জসিম উদ্দিন (২০)। ডাক নাম রানা। তার পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে অন্তত অর্ধশত নারী। নিজের আসল পরিচয় গোপন করে এবং ছদ্মনামে গত চার বছরে দু’টি পাতানো বিয়ে করে সংসারও করেছেন তিনি। তার কথিত প্রথম স্ত্রীর ঘরে রয়েছে পারভীন নামে আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তানও।
৫ মার্চ রাতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী মাদারীপুরের সদর থানাধীন চরমুগুরিয়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুরভী আক্তার (১৯) হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এই জসিম উদ্দিন রানা। এরপরই বেরিয়ে আসে তার অপকর্মের এসব নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গোনিউজ২৪/এন