রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার লাশ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। দুটি বহুতল ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থানে মেলে তার মরদেহ। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হতে পারে।
রুম্পর মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তদন্তে নামে ডিবি পুলিশ। ঘটনার দুইদিন পর রুম্পার ‘বয়ফ্রেন্ড’ আবদুর রহমান সৈকতকে আটক করা হয়। রোববার তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ডিবি পুলিশ বলছে, রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় সৈকতের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, রুম্পার সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সম্পর্কের অবনতি মেটাতেই ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সৈকতের ফোন পেয়ে ওই ভবনে যান রুম্পা।
সন্ধ্যায় সৈকত ও রুম্পার ঘটনাস্থলের একটি ভবনে প্রবেশের দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। পরে এদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে ভবনের নিচে পড়ে থাকা অবস্থায় রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রুম্পার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানতে চেয়েছিলেন সৈকত। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে সৈকত তার সহযোগীদের নিয়ে রুম্পাকে সিদ্ধেশ্বরীর সেই বাসার ছাদে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাকে ওই ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
সৈকতকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুম্পা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে মনে করেন ডিবির এই কর্মকর্তা।
রুম্পার বাবা মো. রুককুন উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত। মা নাহিদা আক্তার পারুল গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোনের রুম্পা সবার বড়।
রুম্পা ২০১৪ সালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি, ২০১৬ সালে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ এইচএসসি উত্তীর্ণ হন।
গত বুধবার টিউশনি শেষে বাসায় ফেরে রুম্পা। এরপর বাইরে কাজ আছে বলে আবার বাসা থেকে বের হন। কিন্তু এরপর রাতে আর বাসায় ফিরেননি। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি।
বৃহস্পতিবার রুম্পার মা-সহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
গো নিউজ২৪/আই