বৃদ্ধ জয়নালের (৫৫) লালসার শিকার হতে হয়েছে ছয় শিশুকে। আদালতে চার শিশুকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিচ্ছিলেন। এই সময় ধর্ষণের শিকার চার শিশু শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের সঙ্গে আরও দুই সহপাঠীকে ধর্ষণের কথা বিচারকের কাছে প্রকাশ করে তারা।
এ নিয়ে জয়নালের বিরুদ্ধে ছয় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেল। গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বগুড়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় জয়নাল আবেদীন।
আদালতে প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী আরও দুই শিশুকে ধর্ষণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটির প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন সন্তানের জনক জয়নাল আবেদীন বগুড়ার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর খাদুলী গ্রামের ফজর আলীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার চার শিশু শিক্ষার্থী জয়নালের প্রতিবেশী। তারা জয়নালের দূর সম্পর্কের নাতনি। হতদরিদ্র পরিবারের চার শিশুর মধ্যে দুই জন তৃতীয় শ্রেণির এবং দুইজন প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রী জয়নালের বাড়িতে জলপাই কুড়াতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জয়নাল ওই দুই শিশুকে জলপাই খাওয়ানের লোভ দেখিয়ে ঘরের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে একই কৌশলে প্রথম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার দুই শিশুর বাবা বাদী হয়ে জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে থানায় দুই মামলা দায়ের করে। গত ১০ সেপ্টেম্বর জয়নালকে গ্রেফতারের পর ১১ সেপ্টেম্বর বগুড়া আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। একই দিন চার শিশু আদালতে ধর্ষণের বর্ণনাকালে তাদের সঙ্গে আরও দুই সহপাঠীকে ধর্ষণের কথা প্রকাশ করে তারা। সিরিয়াল ধর্ষক জয়নাল আবেদীন বগুড়া কারাগারে আটক রয়েছে।
গো নিউজ২৪/আই