নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নৃত্যশিল্পী। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। একটি কোম্পানির বার্ষিক স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার কথা বলে ওই নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
নৃত্যশিল্পী বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পরে রাতেই মাহমুদুল হাসান হিমেল, সফিকুর ইসলাম রনি ও মো. সজিব নামে ৩ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সূচারগাঁও গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে মাহমুদুল হাসান হিমেল (২৩) পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই নৃত্যশিল্পীকে সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দি এলাকায় একটি কোম্পানির বার্ষিক স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার কথা বলে ৬ হাজার টাকায় চুক্তি করেন।
চুক্তি অনুযায়ী সোমবার সকাল ১১টার দিকে ওই নৃত্যশিল্পী তার সহশিল্পী মামুন ও স্বামীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ওই নৃত্যশিল্পী ও তার সহশিল্পী মামুনকে ড্রেস চেঞ্জ ও মেকআপ করার কথা বলে হিমেল তার বাড়িতে যেতে বলেন। অল্প সময়ে বাড়ি যাওয়া যাবে এ কথা বলে হিমেল কৌশলে পার্শ্ববর্তী কাশবনের ভেতর দিয়ে তাদের নিয়ে যায়।
কাশবনের ভেতর হিমেলের সহযোগী সফিকুর ইসলাম রনি (২৪), মো. সজিব (২০), সানজিদ (২০) ও সিয়াম (২২) আগে থেকে ওৎপেতে ছিল। পরে হিমেল একটি ধারালো ছুড়ি নিয়ে নৃত্যশিল্পী ও তার সহশিল্পী মামুনকে জিম্মি করে।
এ সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাহমুদুল হাসান হিমেলের সহযোগী সিয়ামের সহযোগিতায় হিমেল ও তার ৩ সহযোগী সফিকুর ইসলাম রনি, মো. সজিব, ও সানজিদ পালাক্রমে নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
পরে নৃত্যশিল্পী তার সহশিল্পী মামুনের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে স্বামীর কাছে এসে ঘটনার বিবরণ দেন।
ধর্ষণের ঘটনায় নৃত্যশিল্পী বাদী হয়ে ৫ জনের নামে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়ে ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করি। সোমবার রাতেই ৩ জনকে গ্রেফতারে সক্ষম হই। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে তারা।
গো নিউজ২৪/আই
