ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হত্যাকাণ্ডে রহস্য এখনও অন্ধকারে


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০১৮, ১১:১৬ এএম
হত্যাকাণ্ডে রহস্য এখনও অন্ধকারে

পাবনা: বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার সাবেক শ্বশুর শিল্পপতি আবুল হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আবুল হোসেন পাবনার শিমলা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাবনা কারাগার থেকে আবুল হোসেন মুক্তি পান। এদিকে হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস পার হলেও ধরা পড়েননি এজাহারভুক্ত আসামি সুবর্ণা নদীর সাবেক স্বামী রাজিবুল ইসলাম রাজিব।

গত ২৮ আগস্ট রাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক এবং আনন্দ টিভির পাবনা জেলা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদী ওরফে শম্পাকে পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লার ভাড়া বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দিনই পুলিশ সুবর্ণা নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি সামসুজ্জামান মিলনকে ঢাকার আরমানিটোলা থেকে গ্রেফতার করে।

এদিকে দীর্ঘ দেড় মাস পার হয়ে গেলেও পুলিশ এই হত্যার কারণ এবং কারা প্রকৃত হত্যাকারী বা মদদদাতা, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সুস্পষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। তবে এই হত্যাকাণ্ডে সুবর্ণা নদীর সাবেক শ্বশুরালয় আবুল হোসেনের পরিবারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কাজ করছে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গ সুবর্ণার মা মর্জিনা খাতুন বলেন, রাজিবের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই প্রাণহানির শংকায় ভুগতেন নদী। গত বছর নিজের এবং তার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন। তিনি ওই সময় বলেছিলেন, তার শ্বশুর আবুল হোসেন অনেক টাকার মালিক, তিনি লোক দিয়ে যেকোনো সময় তাকে হত্যা বা গুম করাতে পারেন। তা ছাড়া স্বামী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ তুলে তাদের বিচারের দাবিতে প্রায়ই নিজের ফেসবুকে লিখতেন।

নিহত সুবর্ণার বোন চম্পা জানান, পাবনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেনের সঙ্গে ২০১৬ সালের ৬ জুন সুবর্ণার বিয়ে হয়। বিয়ের বছরখানেক পর তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ছাড়াছাড়ির পর পরই সুবর্ণা নদী পাবনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজিবের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে একটির মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাজিব, আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। সুবর্না নদী যেদিন হত্যার শিকার হন সেদিন ওই মামলার সাক্ষ্য দেওয়ার নির্ধারিত তারিখ ছিল। আদালতে সকালে নদী সাক্ষ্যও দেন।

নিহত নদীর বোন চম্পা আরো দাবি করেন, আমার বোন সাংবাদিক হলেও সংবাদ প্রকাশের কারণে তাকে মরতে হয়নি। তাকে জীবন দিতে হয়েছে আবুল হোসেনের ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করার কারণে।

দীর্ঘ দেড় মাস পার হলেও হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটিত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা।

গো নিউজ২৪/এমআর

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর
মামা, মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করলো ভাগনে

মামা, মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করলো ভাগনে

বিএনপির সমাবেশে সংবাদকর্মীরা হামলার শিকার

বিএনপির সমাবেশে সংবাদকর্মীরা হামলার শিকার

এমটিএফই প্রতারক মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

এমটিএফই প্রতারক মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত’

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত’

কিশোরী নির্যাতন করে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু তিন দিনের রিমান্ডে

কিশোরী নির্যাতন করে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু তিন দিনের রিমান্ডে

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার