ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২৮ বছরের নারীকে গণধর্ষণ: ১৮ ঘণ্টা পড়ে থাকলেও কেউ উদ্ধার করেনি


গো নিউজ২৪ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮, ১১:০৬ এএম
২৮ বছরের নারীকে গণধর্ষণ: ১৮ ঘণ্টা পড়ে থাকলেও কেউ উদ্ধার করেনি

২৮ বছরের এক নারীকে ধরে নিয়ে একটি সেতুর নিচে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এর পর তার যৌনাঙ্গে ধাতব বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। এ অবস্থাতেই ১৮ ঘণ্টা সেখানে পড়েছিলেন তিনি। কেউ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেননি।

গত শনিবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির দেহাবন্ধ হাটপাড়ায় ইছামতী সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের পর রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত সেতুর নিচে পড়েছিলেন ওই নারী। পরে কয়েকজন কৃষক দেখতে পান তিনি খালি গায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।

ওই কৃষকরা তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, গণধর্ষণের শিকার নারীর অবস্থার প্রচণ্ড অবনতিশীল। যদি ঘটনার পর তাড়াতাড়ি তিনি চিকিৎসার সুযোগ পেতেন, তা হলে তার অবস্থা এতটা সংকটজনক হতো না।

জানা গেছে, ওই নারীর বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। স্বামীও তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। তার দিন চলে প্রতিবেশীদের সাহায্যে।

শনিবার তিনি পতিরাজ এলাকায় শিবরাত্রির মেলায় যান। সেখান থেকে সন্ধ্যার দিকে তাকে ধরে ইছামতী সেতুর নিচে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এর পর সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

পরে কয়েকজন কৃষক দেখতে পেয়ে তাকে কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। ধর্ষণের ১৮-২০ ঘণ্টা পর তিনি প্রথমবার চিকিৎসা পান।

সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো হয় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে। সেখানে তিন ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচারও হয়।

কিন্তু বিপদমুক্ত না হওয়ায় রোববার রাত ২টায় তাকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিকেল কলেজে। সেখানে চিকিৎসক টিম গঠন করে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় আবার অস্ত্রোপচার করা হয়।

মেডিকেলের সুপার অমিতকুমার বলেন, তরুণীকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এদিকে এই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সোমবার দেহাবন্ধ এলাকার একজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে- ঘটনার দুদিন পরও কেন সব দুর্বৃত্তকে ধরা যায়নি।

এ ছাড়া কুশমণ্ডি থানার পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েও প্রথমে ঘটনাস্থলে যেতে গড়িমসি করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগে গ্রামবাসী দাবি করেছেন, তারাই অটো করে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আদিবাসী সংগঠনের নেতা বুধন হেমব্রমের অভিযোগ, ‘পুলিশ তৎপর ছিল না। তাই এ ঘটনা ঘটেছে।’

তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) বলেন, ‘পুলিশ খবর পাওয়ার পর পরই ওই নারীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।’ তিনি বলছেন, ‘যৌন নিগ্রহের ঘটনা সহ্য করা হবে না। কড়া ব্যবস্থাই নেয়া হবে।’ সূত্র: আনন্দবাজার

গো নিউজ২৪/এমআর

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর
মামা, মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করলো ভাগনে

মামা, মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করলো ভাগনে

বিএনপির সমাবেশে সংবাদকর্মীরা হামলার শিকার

বিএনপির সমাবেশে সংবাদকর্মীরা হামলার শিকার

এমটিএফই প্রতারক মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

এমটিএফই প্রতারক মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত’

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত’

কিশোরী নির্যাতন করে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু তিন দিনের রিমান্ডে

কিশোরী নির্যাতন করে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু তিন দিনের রিমান্ডে

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার