ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রীতে গৃহকর্মী লাইলী আক্তার আত্মহত্যা করেননি, বরং তাকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে- এমন অভিযোগের সূত্র ধরেই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বনশ্রীর জি ব্লকের বাসিন্দাদের মধ্যে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে জি ব্লকের চার নম্বর রোড এলাকার জনৈক মুন্সী মইন উদ্দিনের সাত তলা বাড়িতে ওই গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই এনিয়ে নানা কথা ছড়াতে থাকে। বিকেলে তা বিস্ফোরণে রূপ নেয়।
গৃহকর্মীকের কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল-একথা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসি গৃহকর্তার বাড়ি ঘেরাও করে। এরপর শুরু হয় ঢেলাঢেলি, বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ।
গৃহকর্তার বাড়িতে হামলার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। তারা পুড়িয়ে দেয় বাড়ির সামনে রাখা গাড়িও। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তাদেরও বাধা দেয়া হয়। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
নিহত গৃহকর্মী লাইলী আক্তারের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আজুয়াটালীয়। তিনি রাজধানীর বনশ্রীর হিন্দুপাড়া বস্তিতে থাকতেন। সেখান থেকেই প্রতিদিন মইন উদ্দিনের বাসায় কাজ করতে যেতেন।
তবে কেন সকালে মইন উদ্দিনের বাড়িতে হাজির হয়েই আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। গৃহকর্তার দাবি, লাইলী কাজের এসেই আত্মহত্যা করেছে। তবে একথা মানতে নারাজ স্থানীয়রা।
গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতন এখন নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকদিন আগে আদুরী নামের এক গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার ঘটনার গৃহকত্রীর সাজার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। তার আগেও গৃহকর্মী নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর সব ঘটনা ঘটেছে। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গোনিউজ২৪/এন