সিলেট অঞ্চলে চলমান বৃষ্টিপাত আরও দুই দিন অব্যাহত থাকবে। এতে সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
১০ জুলাই সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট শহরে ১১ দশমিক ৮ মিলিমিটার এবং ৯ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১০ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাইদ আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিপাত চলছে। আগামীকাল বৃষ্টিপাত বেশি থাকবে, বিশেষত সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট এবং কানাইঘাট; সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, ছাতক উপজেলা এবং তাহিরপুর উপজেলায়। তবে মৌভীবাজার জেলাসহ সিলেট সদরে খুব বেশি বৃষ্টি হবে না। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে জৈন্তাপুর উপজেলায়।
গত কয়দিন ধরে সিলেটের জেলাগুলোতে অল্প অল্প বৃষ্টিপাত অর্থাৎ ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার হয়ে শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাতে রূপ নিয়েছে।
এ আবহাওয়াবিদ আরো বলেন, সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত বেশি হচ্ছে। এই জেলার কিছু অংশ, ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী দশ দিনের ভেতর আসাম ও মেঘালয়ে প্রায় ৮০০/৯০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত আছে এবং সুনামগঞ্জের দিকে আছে ৫০০ / ৫৫০ মিলিমিটার। এই ১৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের বেশিরভাগই আসবে সুনামগঞ্জ দিয়ে। সুনামগঞ্জে যে বন্যা পরিস্থিতি তার আরো অবনতি হবে। আজ ও আগামীকালের ভারী বৃষ্টিপাতে শহর পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে।
আবহাওয়াবিদ সাইদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে চলমান বৃষ্টি দু’দিন পর কমে যাবে। এই বৃষ্টিপাত খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে আগামী ১৮ থেকে ২০ জুলাই বেশি বৃষ্টিপাত হবে। সিলেট এবং সুনামগঞ্জের কোনো কোনো উপজেলা ভারতীয় সীমান্ত এলাকা সংলগ্ন হওয়ায় তাদের ভারী বৃষ্টিপাতের ধাক্কাটা আমাদের নদীগুলো দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এলাকায় বন্যার সৃষ্টি করে।
গত জুন মাসের ২৫-২৬ তারিখের দিকে সুনামগঞ্জে বন্যা হয়েছিল। এ বন্যার যে মোট বৃষ্টিপাত আমাদের জুন মাসে যে সাধারণ বৃষ্টিপাত অর্থাৎ ৮৮৬ মিলিমিটার হওয়া কথা; কিন্তু সাধারণ থেকে ১৮ মিলিমিটার কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাধারণ বৃষ্টিপাত হলেও কিন্তু বন্যা হওয়ার কথা না। কিন্তু দেখা গেছে বন্যা হয়েছে। এর মানে শুধু বৃষ্টিপাতই বন্যার প্রধান কারণ নয়; আমাদের এলাকায় যদি আপারের (উজান) বৃষ্টি আসে তবেই সমস্যা, বলেন আবহাওয়াবিদ সাইদ আহমেদ চৌধুরী।
গো নিউজ২৪/আই