ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নরসিংদী-জামালপুর-খুলনা লকডাউন ঘোষণা


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২০, ০৯:৩৪ এএম
নরসিংদী-জামালপুর-খুলনা লকডাউন ঘোষণা

নরসিংদী: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নরসিংদী জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। 

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে ও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে এ আদেশ জারি করা হয়। 

এদিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পর রায়পুরা উপজেলাতে দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের প্রধান ইমরুল কায়েস।

নির্দেশনা অনুযায়ী নরসিংদী জেলায় জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক ছাড়া জেলা, উপজেলার অন্য সব রাস্তা ও সীমানা দিয়ে ভিন্ন জেলায় যাতায়াতে প্রবেশ ও প্রস্থানের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময় সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত, গণপরিবহন, দিন-রাতে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা, খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ ও চিকিৎসা এর আওতাবহির্ভুত থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলীর শাহপুর গ্রামে দু’জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দু’জনের মধ্যে একজন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি তিনি গত কয়েকদিন যাবত জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন। গত ৪ এপ্রিল (শনিবার) তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে রায়পুরাতে আসেন। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত সোমবার (৬ এপ্রিল) তার নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাতে তার করোনা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। পরে ওই গ্রামটি লকডাউন করে দেওয়া হয় এবং তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। তার পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

এদিকে করোনা আক্রান্ত অপরজন জেলা হাসপাতালের মালি। তিনি গত কয়েকদিন যাবত জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিতে ভুগছিলেন। করোনা ভাইরাস উপসর্গ দেখা দিলে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায় জেলা হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুধবার বিকেলে তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহীম টিটন বলেন, নরসিংদীতে মোট তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া এলাকার একজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।  তিনি পলাশ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। আর হোম কোয়ারেন্টিনে ২৩১ জনকে রাখা হয়েছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও নরসিংদী করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের প্রধান ইমরুল কায়েস বলেন, করোনা ভাইরাস ঝুঁকি মোকাবিলা ও সুরক্ষার প্রয়োজনে নরসিংদী জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ নরসিংদীতে যে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। তারা দুই জনই নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। সে কারণেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর রায়পুরা উপজেলার শাহপুর গ্রামসহ আশেপাশের পাঁচটি গ্রাম, ডৌকারচরের একটি গ্রাম এবং পলাশের ইসলামপাড়া গ্রামটি লকডাউন করা হয়েছে।

জামালপুর
জামালপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এনামুল হক। 

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জামালপুর জেলার সঙ্গে ঔষধ, খাদ্যদ্রব্য, সংবাদপত্র ও চিকিৎসকদের গাড়ি ছাড়া দেশের সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলায় ঔষধ ও কাচা বাজার ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউন বাস্তবায়ন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

এই জেলায় দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাদের জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের আইসোলেশেন ইউনিটে রাখা হয়েছে। 

খুলনা
খুলনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বুধবার রাতে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া খুলনা জেলায় সকল ধরনের যানবাহন প্রবেশ ও বাহির হওয়া বন্ধ থাকবে। তবে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা (যেমন খাদ্যদ্রব্য, কৃষিপণ্য ও সেচ সরঞ্জাম, জ্বালানি তেল ইত্যাদি) এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হিসাবরক্ষণ অফিস এবং সংশ্লিষ্ট অফিস এর আওতামুক্ত থাকবে। ক্লিনিক, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান ছাড়া অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান, বাজার প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাত পৌনে ১১টায় মোবাইল ফোনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল হোসেন জানান, খুলনা জেলায় কোনো যানবাহন ঢুকতে পারবে না এবং খুলনা জেলা থেকে কোনো যানবাহন বাইরে যেতে পারবে না। এর আগে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেটিই মূলত 'লকডাউন'। জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংক ও বাজারসহ ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে।

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা