ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিরীহ পাহাড়বাসীর আতংক বাশতৈল ফাঁড়ি পুলিশ


গো নিউজ২৪ | শামসুল ইসলাম সহিদ,মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০১৯, ১২:৫১ পিএম
নিরীহ পাহাড়বাসীর আতংক বাশতৈল ফাঁড়ি পুলিশ

কথায় আছে দশদিন চোরের আর একদিন সাধুর। এবার কথা পরিবর্তন হয়ে দশদিন পুলিশের আর একদিন জনতার। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মির্জাপুর থানার বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচ সদস্য ও তাদের দুই সোর্সের বেলায়। মির্জাপুর পাহাড়ী অঞ্চলের নিরীহ সাধারণ মানুষের আতংক ওই পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু ওই নিরীহ মানুষের যখন দেয়ালে পিঠ ঠেখে গেছে তখন আর তারা পিছিয়ে যায়নি। সমস্ত ভয় ডর উপেক্ষা করে সাহসিকতার সাথে নিরীহ জনতা পুলিশকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক দিনমজুর নিরীহ ব্যক্তিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচ পুলিশ সদস্য ও তাদের দুই সোর্স।তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মাদক দিয়ে আটকের পর মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ওই গণধোলাইয়ের সময় পালিয়ে যাওয়া পুলিশের আরেক সোর্স মো. আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

 শনিবার দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার বেলতৈল এলাকা থেকে পুলিশের পলাতক সোর্স আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে সখীপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের ভাওড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। তবে পালিয়ে যাওয়া কনস্টেবল আ. হালিম ও তোজাম্মেল হক এখনো পলাতক রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সখীপুরের ভাতকুড়াচালা গ্রামে গণধোলাইয়ের শিকার হন ওই পাঁচ পুলিশ ও দুই সোর্স। তাঁদের মধ্যে এক সোর্স ও দুই পুলিশ কনস্টেবল পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছেন বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম, দুই কনস্টেবল রাসেলুজ্জামান ও গোপাল সাহা এবং সোর্স হাসান।

বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম এবং তাঁর চার সহযোগী কনস্টেবল ও দুই সোর্সের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার গণধোলাইয়ের আগের দিন ২৭ নভেম্বর এএসআই রিয়াজুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা মির্জাপুর উপজেলার টান পলাশতলী গ্রামে যান। তাঁরা গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে আনোয়ারের পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে ওই পরিবারটি অভিযোগ করেছে। এ ছাড়া ২২ নভেম্বর গোড়াই-সখীপুর সড়কের সিএনজিচালক সখীপুরের হতেয়া মৌলানাপাড়া এলাকার মোকলেছুর রহমানের গাড়িতে পাঁচ পিস ইয়াবা রেখে আটকের ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা নেয় পুলিশ ও সোর্সের এই চক্রটি। একই দিন হতেয়া সাদভাওড়া গ্রামের নিয়ামুল ইসলামের পকেটে ইয়াবা দিয়ে আটক করে ২০ হাজার টাকা নেন তাঁরা। সখীপুরের হলুদিয়াচালা গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি বিপুল সূত্রধরকে আটক করেন রিয়াজুল। তাঁকে জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখিয়ে ৩১ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

সখীপুরের বড়চওনা কুতুবপুর কলেজের শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও হাতিবান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নিয়ামুল জানান, এএসআই রিয়াজুল ও তাঁর সহযোগী কনস্টেবলরা এলাকার নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। ভুক্তভোগীরা সম্মান ও মামলার ভয়ে রিয়াজুলের চাহিদামতো টাকা দিয়ে ছাড়া পান। শেষ পর্যন্ত জনতা রুখে দাঁড়িয়েছে। জনতা গ্রেপ্তারকৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি জানিয়েছেন।

গোনিউজ২৪/এমএএস


 

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা