ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহেড়া ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ


গো নিউজ২৪ | মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০১৯, ১১:২২ এএম
মহেড়া ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রতিটি নবজাতক গাছের সবুজ শ্যামল ছায়ায় বেড়ে উঠুক আর এলাকাবাসী আমাকে মনে রাখুক এটাই আমার লক্ষ।আগে একটি করে গাছ লাগিয়ে শুরু করেছিলাম। কিন্তু জায়গা থাকয় গাছের সংখ্যা একটি করে বাড়িয়ে দিলাম। ছোট শিশুদের সাথে গাছও বেড়ে উঠবে। পর্যায়ক্রমে সবুজে ভরা গাছে ছেয়ে যাবে পুরো এলাকা। সে এক অন্যরকম অনুভুতি।

কথাগুলো টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান বাদশা মিয়ার। তাঁর ইউপি এলাকায় নতুন শিশুর জন্ম হলে দুইটি করে গাছ লাগাচ্ছেন তিনি।

চলতি মাসের প্রথম দিন ‘একটি শিশু, একটি গাছ’ শ্লোগানে ব্যাক্তি উদ্যোগে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচীটি হাতে নিলেও ১৫দিন ধরে ভূমিষ্ট হওয়া প্রতি নবজাতকের জন্য দুইটি করে গাছ লাগাচ্ছেন। গত ২৩ দিনে তিনি ১৭ নবজাতকের জন্য ৩৪টি গাছ লাগিয়েছেন।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১৬ সালের ২৮ মে ইউপি নির্বাচনে বাদশা মিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দায়িত্ব নেন ৭ আগস্ট। দায়িত্ব নেয়ার পর মানুষ মনে রাখার মত তেমন কোন কাজ করতে পারেননি। পুনরায় চেয়ারম্যান না হতে পারলেও মানুষ তাকে কিভাবে মনে রাখবে এজন্য পদ্ধতি খোঁজেন। পরে চলতি আগস্ট মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু করেন কর্মসূচীটি। এর আগে তিনি ইউপির বিভিন্ন গ্রামে অনুষ্ঠিত সভা কিংবা উঠান বৈঠকে তার উদ্যোগের কথা প্রচার করেন।

তিনি খবর পান ইউনিয়নের তেঘুরি গ্রামের দিপু সরকারের স্ত্রী দিপ্তী সরকার একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গত ১ আগস্ট তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে তিন নবজাতক অংকন সরকার, অর্পণ সরকার ও অরিত্রি সরকারের নামে বাড়ির পাশে তিনটি আম গাছের চাড়া বুনেন।

দিপ্তী বলেন, ‘বাবুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছও বড় হবে। গাছে আম আসবো, বড় হয়ে ওরা খাবে, সঙ্গে আমরাও। সত্যিই ভাল লাগছে।’

বিল মহেড়া গ্রামের জুলহাস মিয়া বলেন, ‘মেয়ে হওয়ার খবরে চেয়ারম্যান বাড়িতে আম ও ইউকালিপটাস গাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ।’

চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আগাছাওয়ালী গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ান পারভেজ বলেন, ‘কর্মসূচীটি গ্রহণের আগে চেয়ারম্যান পরিষদের সকলকে নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা তাঁকে সাহায্য করছি। চেয়ারম্যান সাহেব গাছ লাগানোর পর বাচ্চার হাতে কিছু টাকাও দেন। এই টাকা বিশেষ করে যারা দরিদ্র তাঁদের বেশি উপকারে আসে।’

বাদশা মিয়া বলেন, ‘কাজটি করার মাধ্যমে আমার এলাকার জনগনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে। আমি বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শনে গিয়েও বাচ্চা হলে আমাকে জানানোর কথা বলছি। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারছি। আমি চাই কাজটির মাধ্যমে প্রতিটি নবজাতক গাছের সবুজ শ্যামল ছায়ায় বেড়ে উঠুক। মানুষ আমাকে মনে রাখুক।’

গো নিউজ২৪/এমআর

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা