ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মির্জাপুরের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান


গো নিউজ২৪ | শামসুল ইসলাম সহিদ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল )প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম আপডেট: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম
মির্জাপুরের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

মনে উৎকন্ঠা এলাকায় ক্ষোভ থাকলেও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৪৩নং থলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ভবনটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ৮০ বছরের পুরনো এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২০৯ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, থলপাড়া গ্রামের কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ১৯৩৮ সালে ঝিনাই নদীঘেঁষা প্রায় ৪৫ শতাংশ ভূমির ওপর বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি সরকারি হয়। বিদ্যালয়টিতে সাতজন শিক্ষক নিয়মিত পাঠদান করাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে তিন কক্ষের একটি পাকা ভবন ও একটি টিনশেড ভবন রয়েছে। উত্তর পাশের জরাজীর্ণ টিনশেড ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় জরাজীর্ণ ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, টিনশেড ভবনে ক্লাস করতে ভয় লাগে আমাদের। বৃষ্টি হলেই ক্লাস নেয়া বন্ধ থাকে। ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। বই খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। স্যারেরা ক্লাস করতে বলে তাই করি।

৮০ বছরের পুরনো জরাজীর্ণ বিদ্যালয়  

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সহসভাপতি আপেল মাহমুদ বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টিতে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা ভবন রয়েছে। যার দুই কক্ষে পাঠদান করানো হয়। অফিস কক্ষের একপাশে শিশু শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বিকল্প না থাকায় আমরা জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কক্ষে অন্য শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। নতুন ভবনের দোতলায় তিন কক্ষের কাজ চলমান রয়েছে। সরকার এক শিফটে ক্লাস নেয়ার বিধান করায় ভবনের দোতলায় নতুন কক্ষে ক্লাস শুরু হলেও শ্রেণিকক্ষের সংকট দূর হবে না। কক্ষ সংকট থাকার কারনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান করাতে হবে।

 বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ টিনশেড ভবন 

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন মন্টু বলেন, বিষয়টি স্থানীয় এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানানোর পর পাকা ভবনের দোতলায় তিন কক্ষের টেন্ডার দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে দীর্ঘদিনেও কাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা।

মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, স্কুল ভবন সংস্কারের কাজ উপজেলা প্রশাসন করে থাকে। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ভবনটিতে পাঠদানের উপযোগী করে তুলতে উদ্যোগ নেব।

গো নিউজ২৪/এমআর

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা