চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় চারজনের ধর্ষণে এক কিশোরী গর্ভবর্তী হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে জানা যায়, ধর্ষকদের মধ্যে যাকে ভুক্তভোগী কিশোরী পছন্দ করবে তার সঙ্গেই বিয়ের ব্যবস্থা করবেন গ্রাম্য মাতব্বররা। শনিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ওই কিশোরীর। কিন্তু সেই বিয়েটা আর হচ্ছে না।
শুক্রবার বিকেলে পুলিশ এসে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যায়। তাই আর বিয়ে হচ্ছে না।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এলাকার চার যুবক। হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
কিশোরীর অভিযোগ, চারজন তাকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এক সময় অসুস্থ হলে তার মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে অভয় দেওয়া হলে কিশোরী চারজনের নাম বলেন।
ধর্ষকরা হলেন- ওই ইউনিয়নের ভাটরা শিবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে রাব্বি (১৯), বিল্লালের ছেলে মেরাজ (২২), রফিকের ছেলে এমরান (২১) ও সিরাজের ছেলে আরফিন (২০)।
এ ঘটনার পর ওই চার যুবকের কাছ থেকে কিশোরীর খরপোশের জন্য পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন মাতব্বরা। জরিমানার টাকাগুলো ব্যাংকে জমা আছে। এই অর্থ দিয়েই আজ বিয়ের আয়োজন করার কথা ছিল এবং বাকি টাকা কিশোরীর সংসার খরচের জন্য ব্যয় করা হবে।
এদিকে মামলা না করে শালিস করার কথা স্বীকার করে এলাকার মাতব্বর মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা এলাকায় শালিস করেছি। চার যুবককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলার দক্ষিণ গন্ধর্বপুর ইউনিয়নের এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য কাজ করছে।
গো নিউজ২৪/আই