ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নবজাতকের মাথা ছিঁড়ে ফেলল ক্লিনিক মালিক!


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০১৯, ০৮:৫৮ পিএম
নবজাতকের মাথা ছিঁড়ে ফেলল ক্লিনিক মালিক!

গাইবান্ধার সাঘাটায় সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক আজগর আলী। তিনি মূলত একজন মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট। নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে এই ক্লিনিকটি চালাচ্ছেন।

উপজেলা সদর বোনারপাড়ায় গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। পরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হওয়ায় প্রসূতিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাইবান্ধা শহরে নিয়ে এসে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। এতে মা রশিদা বেগম প্রাণে রক্ষা পেলেও তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় সিভিল সার্জন, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে গত রোববার অভিযোগ দেয়া হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু আহম্মদ আল মামুনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে দেন গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ।

প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের লিমন মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রশিদা বেগমকে গত শনিবার সকাল ১০টায় প্রসবব্যথা নিয়ে উপজেলার বোনারপাড়ার প্রাইভেট ক্লিনিক ‘মাতৃসদন কেন্দ্রে’ ভর্তি করানো হয়। সেখানে থাকাকালে ডাক্তার এবং নার্স ছাড়া বিনা চিকিৎসায় সারা দিন ওই ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করে রাখা হয়। এরই একপর্যায়ে প্রসূতির শারীরিকি পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে বিকাল ৪টার দিকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মালিক আজগর আলী নিজেই একটি রুমে নিয়ে গিয়ে প্রসব করানোর চেষ্টা করেন।

একপর্য়ায়ে নবজাতকের পা বের হয়ে আসলে তা ধরে ব্যাপক টানাটানি করা হয়। নবজাতকের মাথা আটকে গেলে গলা থেকে দেহ ছিঁড়ে আসে। এতে রোগীর ব্যাপক রক্তক্ষরণ হলে বেকায়দায় পড়ে ক্লিনিকের মালিক আজগর আলী প্রসূতিকে গাইবান্ধা অথবা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

এদিকে প্রসবের সময় বাচ্চার পা ধরে টানাহেঁচড়া করায় গলা থেকে ছিঁড়ে দেহ আলাদা হয়ে গেলে ছেঁড়া অংশ ভেতরে পুনরায় ঢুকিয়ে দেয়ায় প্রসূতি মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে শনিবার রাত ১০টায় কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই রোগীকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়া হয়।

পরে ক্লিনিকের দরজায় তালা লাগিয়ে সটকে পড়ে মালিক আজগর আলীসহ সবাই। প্রসূতি রশিদা বেগমের অভিভাবকরা তাকে নিয়ে তখন জেলা সদরে ‘গাইবান্ধা ক্লিনিকে’ এনে ভর্তি করায়। এখানে চিকিৎসকরা চেষ্টা করে মাথা এবং দেহ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মৃত শিশুটিকে বের করে বাড়িতে দাফনের জন্য পাঠিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে কথা হলে অভিযোগ উঠা সেই মাতৃসদন ক্লিনিকের মালিক কথিত চিকিৎসক আজগর আলী বলেন, রোগীর লোকজনের অনুরোধেই বাচ্চা বের করার চেষ্টা করি। তবে আগে থেকেই পেটের ভেতর বাচ্চা মৃত ছিল বলে তার দাবি।

গো নিউজ২৪/আই

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা