ফরিদপুর: স্বামীর লাশ দাফন করতে গিয়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীকে আটকের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাভারে নিজ বাসায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ফয়সাল মোল্লার (২৮)।
মৃত ফয়সাল মোল্লার স্ত্রীর ভাষ্য, ফয়সাল আত্মহত্যা করেছেন। স্বামীর লাশ দাফন করতে স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি আলফাডাঙ্গায় গিয়েছিলেন। কিন্তু স্বামীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের ঘটনায় ফয়সাল আত্মহত্যা করেছেন।
ফয়সাল মোল্লা আলফাডাঙ্গার উত্তর মালা গ্রামের ওহিদুজ্জামানের ছেলে। সাভারের একটি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ম্যাকানিক্যাল বিভাগে কাজ করতেন। তার স্ত্রীর নাম তহমিনা আক্তার ওরফে মুন্নু (২৬)। তিনিও সাভারের একটি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে অপারেটর হিসেবে কর্মরত। ফয়সাল-তাহমিনা দম্পতি সাভার এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে।
ফয়সালের পরিবারবারে সদস্যরা জানায়, শুক্রবার সকালে ফয়সালের মৃতদেহ নিয়ে তাহমিনাসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্য ফয়সালের বাড়িতে আসেন। তারা জানায়, ফয়সাল গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ফ্যানের সাথে গলায় রশির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ফয়সালের বাবা ওহিদুজ্জামান মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, প্রেম করে বিয়ে করে ফয়সাল ও তাহমিনা। বিয়ের পর তাহমিনা পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পরকীয়ার কারণে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল করিম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফয়সাল আত্মহত্যা করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তহমিনাসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
গো নিউজ২৪/এমআর