গায়েবি আগুন আতঙ্কে ভুগছে মির্জাপুরের ১৫টি পরিবার। আগুন আতঙ্কে পরিবারগুলোর দৈনন্দিন কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাতের ঘুমও হারাম হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ১৫টি পরিবারে আগুন আতঙ্ক ছড়ানোর সাথে এক কবিরাজ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
গ্রামটিতে গিয়ে দেখা গেছে, খন্দকার মতিয়ার রহমান, তোফাজ্জল হোসেন , আব্দুল করিম ও সুজনসহ বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের বিছানার কাঁথা-বালিশসহ ঘরের মালামাল বের করে রহস্যময় আগুনের ভয়ে বাড়ির উঠানে স্তুপ করে রেখেছে।
জানা গেছে, গত রোববার সকাল ১০টায় রওশনারা বেগম নামে এক গৃহবধূ দেখতে পান খন্দকার মতিয়ার রহমানের বারান্দায় রশিতে ঝুলানো কাপড় চোপড় আগুনে পুড়ছে। এরপর থেকে প্রতিদিন চার পাঁচ বার ঘরে রক্ষিত কাপড় চোপড় ও বিছানায় হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠছে। কে বা কিভাবে আগুন লাগাচ্ছে তা কেউ দেখতে পাননা।
পবিারের সদস্য তোফাজ্জল হোসেন ও রওশনারা জানান, এভাবে পাঁচদিন যাবত পরিবারগুলোতে আগুন আতঙ্ক বিরাজ করছে। আগুন আতঙ্কের কারণে পরিবারগুলোর লোকজন কর্মহীন দিনযাপন এবং নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা খন্দকার বলেন, এই গায়েবি আগুনের ভয়ে আমরা গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছি। এদিকে এই গায়েবি আগুন দেখতে প্রতিদিন ধেরুয়ার খন্দকার পাড়ায় শত শত লোক ভিড় জমাচ্ছেন।
আতঙ্কিত পরিবারের সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আগুন জ্বলে উঠার পর প্রথমে শুধুমাত্র আমাদের বাড়ির এক শিশু দেখতে পান। পরে সবাই এসে আগুন নেভান। দুপুরে ওই বাড়িতে অবস্থানের সময় শিশুটির পরনের প্যান্টের পকেটে একটি গ্যাস লাইট পাওয়া গেছে। এসময় শিশুটি দুই সংবাদ কর্মীকে বলে, এক হুজুর কবিরাজ তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে গোপনে আগুন লাগাতে বলেছে। এ নিয়ে গ্রামটিতে নানা গঞ্জন শুরু হয়েছে।
এব্যপারে মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি একজন অফিসার পাঠিয়েছিলাম কিন্তু কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। তিনি একে গায়েবি আগুন বলে উল্লেখ করেন।
গো নিউজ২৪/আই