পাবনা: ‘অপমান হওয়ার থেকে মৃত্যু অনেক ভালো, আমার মৃত্যু হলে মেয়ে কারিমার কি হবে? তাই মেয়েকে মেরে ফেললাম, পাশের ঘরের ড্রামে আমার মেয়ের লাশ আছে!’এসব চিরকুটে লিখে বাবাও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই চিরকুটের সূত্র ধরেই শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার বিএড কলেজ সংলগ্ন একটি পানির ড্রাম থেকে কারিমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কারিমা খাতুনকে তার বাবা গলা টিপে হত্যা করেছে। পরে তিনি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় অবস্থিত একটি বিএড কলেজের অধ্যক্ষ মো. কাদেরুজ্জামান তার শিশু কন্যা কারিমাকে নিয়ে কলেজে যান। সেখানেই দুপুর দেড়টার দিকে পানির ড্রামে কারিমার লাশ পাওয়া যায়। কাদেরুজ্জামান নিজেও সেখানে বিষপান করে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন।
আরো পড়ুন: থাকেন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে, করেন চাঁদাবাজী, অতপর...
পরে তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাদেরুজ্জামানের জ্ঞান না ফিরলে হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কী না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে পুলিশ।
এদিকে মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকে এ ঘটনায় কাদেরুজ্জামানের মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার স্ত্রীও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
গো নিউজ২৪/এমআর
