ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অন্যতম যানজটপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ধেরুয়া রেল ক্রসিংয়ে নির্মানাধীন উড়াল সেতুর একাংশ যানবাহন চলাচলের জন্য ঈদের আগে খুলে দেয়া হবে। এবারের ঈদে ঘরে ফেরা মানুষকে দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আগামী ১৮ আগষ্ট থেকে উড়াল সেতুটি খুলে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ওই এলাকায় মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু রেল সংযোগ সড়কে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩০টি ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। এতে ধেরুয়া রেল ক্রসিংয়ে উড়াল সেতু না থাকায় যানজট ছিল নিত্যদিনের দৃশ্য। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে এই যানজট ভয়াবহ রূপ নিত। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষকে মহাসড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এ দুর্ভোগ লাঘবে সরকার ৩২৯ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৪ মিটার প্রস্থ দুইটি উড়াল সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। ইতিমধ্যে উত্তর পাশের উড়াল সেতুটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। যা ঈদের আগে আগামী শনিবার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম জানিয়েছেন। ফলে ধেরুয়া রেল ক্রসিংয়ে মানুষকে এবারের ঈদে দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জগামী এস আই পরিবহনের চালক আব্বাস মিয়া ও ট্রাক চালক আরফান দেওয়ান জানান, উড়াল সেতু চালু হলে যানজটে বসে থেকে তাদেরসহ মহাসড়ক দিয়ে ঘরে ফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
এছাড়া চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত সোহাগপুর, দেওহাটা, শুভুল্যা, আছিমতলা, পাকুল্যা, জামুর্কী, নাটিয়াপাড়া, করটিয়াতে ডাবল সেতু হয়েছে। এই সেতুগুলোও গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছেন। এর ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে গন্তব্যে চলাচল করতে পারবে বলে জানা গেছে।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি এ কে এম কাউছার জানান, মহাসড়কের ধেরুয়া রেল ক্রসিংয়ের উড়াল সেতু খুলে দেয়া হলে ঈদের সময় ওই এলাকার যানজট কমে যাবে। এছাড়া মহাসড়কের অন্য সেতুগুলো খুলে দেয়াতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন হবে।
মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, এলেঙ্গা পর্যন্ত ২৩টি সেতু উদ্বোধন হওয়ার সঙ্গে উড়াল সেতু খুলে দিলে মহাসড়কে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
গো নিউজ২৪/আই