বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রশাসনের নজর এড়াতে নৌকায় বসে বাল্য বিয়ে পরালেন পুরোহিত। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় বাশাইল গ্রামের যতীন্দ্র নাথ দাসের মেয়ে বাশাইল বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মুক্তা রানী দাসের (বৈশাখী) সঙ্গে একই উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের পূর্ণচন্দ্র গাইনের ছেলে প্রশান্ত গাইনের পারিবারিকভাবে অনেক দিন থেকেই বিয়ের কথা চলে আসছিল।
সম্প্রতি কনের বাড়িতে বাল্য বিয়ের আয়োজন শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ডেকে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে বলেন।
শুক্রবার বরের বাড়িতে পুরোহিত দিয়ে সামাজিকভাবে বিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল ওই এলাকার ইউপি সদস্য সুভাষ ভক্তকে ফোন করে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ইউপি সদস্য সুভাষ ভক্ত বরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আয়োজন দেখতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
ঘটনা জানাজানি হলে দুই পরিবারের ঘনিষ্ট লোকজন বর এবং কনেকে নৌকায় উঠিয়ে বিলের মধ্যে নিয়ে শুক্রবার গোধূলী লগ্নে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, বাল্য বিয়ের খবরে পেয়ে তিনি ওই এলাকায় ইউপি সদস্য পাঠিয়েছিলেন। তারপরও যেহেতু আইনকে উপেক্ষা করে গোপনে বিয়ে পরানো হয়েছে সেহেতু আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গো নিউজ২৪/আই