শিশু দুটি মাকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদছে। কিছুতেই মাকে ছাড়বে না। অন্যদিকে পাষণ্ড মা তার সন্তানদের ফেলে রেখে পরকীয়া প্রেমিকের কাছে যাওয়ার জন্য চিৎকার করছেন।
মা ও সন্তানদের এমন চিৎকারে নারায়ণগঞ্জ আদালতের জিআরও-তে ভিড় জমে যায়। যদিও তাদের চিৎকার ভিন্ন ভিন্ন কারণে।
চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আইনজীবী, সাংবাদিক, বিচারপ্রার্থীসহ আশপাশে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও। সবাই যেন এসেই থমকে দাঁড়ান।
অনেকেই বলছেন, এমন করুণ ও হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি হয়তো সিনেমাতে কেউ কেউ দেখলেও বাস্তবে কারো দেখা হয়নি।
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের মেয়ে নাজিরা আক্তার মিতু ও তার দুই শিশু সন্তানের মধ্যে সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সদর কোর্ট জিআরও বিভাগে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
অবশ্য পরে মিতু তার সন্তানদের নিয়ে আগের স্বামীর সংসারে ফিরে যান।
কোর্ট পুলিশের এসআই হানিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মিতু তার স্বামী উইসুফ মিয়া ও তাদের দুই সন্তান (সন্তানদের নাম জানা নেই) নিয়ে ভূইগড় রূপায়ন টাউনে বসবাস করেন।
এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে এক সন্তানের জনক আবুল হোসেন সজিবের সঙ্গে পরকীয়ায় সম্পর্ক গড়ে উঠলে ১৮ এপ্রিল দুই সন্তান ও স্বামীকে রেখে রূপায়ন টাউন থেকে মিতু পালিয়ে যান।
এরপর ২৬ এপ্রিল মিতুর স্বামী ইউসুফ মিয়া একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ রোববার বিকালে মিতুকে উদ্ধার করে।
সোমবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে মিতু জবানবন্দিতে বলেন, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি স্বেচ্ছায় স্বামীকে তালাক দিয়ে সজিবের কাছে চলে গিয়েছেন।
পরে আদালত মিতুকে তার নিজ জিম্মায় মুক্তি দেন বলে জানান এসআই হানিফ মিয়া।
গো নিউজ২৪/এমআর
