অভিষেকের পর থেকে অনেক বড় বড় ব্যাটসম্যানকে ফাঁদে ফেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রিস গেইলকে তো প্রথম বলেই বোল্ড করেছেন। এবি ডি বিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, স্টিভেন স্মিথ কিংবা কেন উইলিয়ামসন- কার স্ট্যাম্প ওড়াননি দ্য ফিজ?
কিন্তু একটা আক্ষেপ ছিল যেন। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি কিংবা আইপিএল- বিরাট কোহলিকে একবারও আউট করতে পারেননি তিনি। এটা যেন একটা ধাঁ ধাঁ হয়েছিল এতদিন মুস্তাফিজের জন্য। কোহলি কী তবে তার কাছে অজেয়?
যদিও বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। তবুও তার উইকেট নিতে পারলে যেন মুস্তাফিজের বোলিংয়ে অন্য মাত্রা যোগ হবে। অবশেষে ধাঁ ধাঁর উত্তর মেলালেন মুস্তাফিজ। বিরাট কোহলিও শেষ পর্যন্ত তার সামনে আর অজেয় থাকতে পারলেন না। তাকেও আউট করলেন দ্য ফিজ।
এবারের আইপিএলে রান তাড়া করতে নামা দলের বিজয় প্রায় অনিবার্য। সেটা যে কোন বিশাল পরিমান রানই হোক না কেন। ১৯৫-৯৬ রানের মত স্কোরগুলোও তাড়া করে ম্যাচ জিতে যাচ্ছে শেষে ব্যাট করা দল। সে কারণে টস জিতলেই চোখ বন্ধ করে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দলগুলো।
সেই হিসেবে কাল(শনিবার) বৃষ্টির পর রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্সও ১৯৪ রানের বড় স্কোর গড়েছে।
বিশাল রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে দারুণ সূচনা এনে দেন বিরাট কোহলি। ৫.২ ওভারেই দু’জন মিলে গড়ে ফেলেন ৪২ রানের জুটি। ধীরে ধীরে এ দু’জন যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন, তখন সানরাইজার্স অধিনায়ক ওয়ার্নার আক্রমণে নিয়ে আসেন মুস্তাফিজকে।
আক্রমণে এসেই ব্যাঙ্গালুরুর ওপর ঝড় বইয়ে দেয়ার ইঙ্গিত দিলেন দ্য ফিজ। প্রথম বলে কোহলিকে কোন রান দিলেন না। পরের বলে দিলেন হালকা আউট সুইঙ্গার। ব্যাকফুটে এসে খেলতে গেলেন কোহলি। কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলেন। আশিষ রেড্ডির ক্যাচটা ধরতে মোটেও কষ্ট করতে হয়নি।
নিজের দ্বিতীয় বলেই ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান কোহলির উইকেট তুলে নিলেন মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত প্রথম ওভার বল করে রান দিলেন মাত্র তিনটি। উইকেট বিরাট কোহলির। তবে এই মৌসুমে সর্বনিম্ন রানে আউট হলেন কোহলি।
আরও পড়ুন
গো নিউজ২৪/জা আ/ এস এম