ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৭ খুনে হাইকোর্টের রায়ে খুশি নন সাখাওয়াত


গো নিউজ২৪ | নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৭, ০৮:০৮ পিএম
৭ খুনে হাইকোর্টের রায়ে খুশি নন সাখাওয়াত

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় নিম্ন আদালত প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ জনের মধ্যে ১১ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৯ জনের সাজা আগেরটিই বহাল আছে। 

তবে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের রায়ে খুশি হতে পারেননি মামলার নিম্ন আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

গত ১৬ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করার পর সাখাওয়াত হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করলেও মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) হাইকোর্টের রায়ের পর বলেছেন, ‘আমি আরো খুশি হতাম যদি নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকতো। শুধু আমি না পুরো নারায়ণগঞ্জবাসী ও দেশবাসীও খুশী হতো। তবে আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা আশা করবো উচ্চ আদালত দ্রুত রায় কার্যকর করবে।’

মঙ্গলবার বিকেলে রায় ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতপাড়ায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন সাখাওয়াত। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু র‌্যাব বাহিনীর বিরুদ্ধে না। আমরা র‌্যাবের কতিপয় বিপদগামী সদস্যের বিরুদ্ধে। র‍্যাবের বিপথগামী সদস্যরাই সাত খুনের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তা রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো। তারেক সাঈদ আরিফের মত যাতে কেউ জন্ম না নেয় সে আশা থাকবে আমাদের।

গেল ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে র‌্যাবের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। তার আগে তিনজনকে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত নেয়া হয় এবং তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

একসঙ্গে দুই মামলার বিচার শেষে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৈয়দ এনায়েত হোসেন। লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ওই রায়ে। ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৬ জনের মধ্যে গ্রেপ্তার ও আত্মসমর্পণ করে কারাগারে থাকা ২০ জন নিয়মিত ও জেল আপিল করেন। এছাড়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথিও ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা এবং এরপর প্রধান বিচারপতি আলোচিত এ মামলার শুনানির জন্য ১৭ মে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। ২২ মে শুনানি শুরু হয়।

৩৩ কার্যদিবসের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমএ মান্নান্ন মোহন ও জাহিদ সরওয়ার কাজল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এসএম শাহজাহান, এহসান উল্লাহ প্রমুখ।

গোনিউজ২৪/পিআর

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর
জামিন পেলেন মামুনুল হক

জামিন পেলেন মামুনুল হক

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী  ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড