ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী বাজেট


গো নিউজ২৪ | স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: জুন ১, ২০১৭, ০৩:১১ পিএম আপডেট: জুন ১, ২০১৭, ০৯:২৯ এএম
৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী বাজেট

আজ দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী এক বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি হচ্ছে দেশের ৪৬তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ১৮তম ও অর্থমন্ত্রী মুহিতের একাদশ বাজেট।

একইসঙ্গে এটি আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান মেয়াদের চতুর্থ ও মুহিতের টানা নবম বাজেট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা নয়টি বাজেট দেওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশে এই প্রথম। এরশাদ সরকারের আমলে দু'বার বাজেট দিয়েছিলেন মুহিত।

প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সবচেয়ে বেশি ১২টি বাজেট দিলেও তা একটানা ছিল না। তবে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া একাধারে ছয়টি বাজেট দেন।

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের প্রকৃত আকার ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে যা ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

জনগণকে তুষ্ট করতে ব্যাপক উন্নয়ন দরকার। আর এ উন্নয়ন সফল করতে প্রয়োজন বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আয়। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, ‘চাপাচাপি যা করার এ বাজেটেই করা যাবে। এর পরের বাজেটে থাকবে নির্বাচনী হাওয়া।’ জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের জন্য এটি হচ্ছে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। 

এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর ‘চাপাচাপির’ ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য মেলাতে অর্থমন্ত্রীকে নতুন বছরে কঠোর হতেই হবে। বাড়তি রাজস্ব আয়ের জন্য বিদ্যমান করের আওতা সম্প্রসারণসহ নতুন নতুন খাত থেকে কর আদায় বাড়াতে হবে।

এজন্য অর্থমন্ত্রীর সামনে একটাই পথ- বিতর্কিত নতুন ভ্যাট আইন ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা। এটি অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এ আইনটি বাস্তবায়ন হলে জনগণের ওপর করের বোঝা ব্যাপক বাড়বে। দ্রব্যমূল্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। 

এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। এছাড়া সবচেয়ে বড় যে প্রভাব, তা পড়বে স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের ওপর। আমদানি পণ্যের কাছে দেশীয় পণ্য মার খাবে। সব মিলিয়ে এসব আশঙ্কা আর ঝুঁকি মাথায় নিয়েই উচ্চাভিলাষী বাজেট প্রণয়ন করেছেন অর্থমন্ত্রী।


গো নিউজ২৪/এএইচ

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর
৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল

৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল

১৪ বছর আগে একীভূত হয়েও এখনো ধুঁকছে যে ব্যাংক

১৪ বছর আগে একীভূত হয়েও এখনো ধুঁকছে যে ব্যাংক

রেড জোনে থাকা ‘বেসিক ব্যাংক’ যাবে কার সঙ্গে?

রেড জোনে থাকা ‘বেসিক ব্যাংক’ যাবে কার সঙ্গে?

বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিদেশি ঋণ, পরিশোধ হবে যেভাবে

বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিদেশি ঋণ, পরিশোধ হবে যেভাবে

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?