সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। বিসিবির পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানও জানিয়েছিলেন, তামিম সুস্থ। প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে দেখা যাবে তাকে। আর এ বিষয়ে ফিজিওর সঙ্গেও কথা হয়েছে তার। এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে জানা যায়, খেলার আগের দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন ছিলেন তামিম।এমনকি খেলার দিন ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন ও ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহনের সঙ্গে জগিংও করেছিলেন তিনি।
তামিমকে নিয়ে এমন সুখবরে আনন্দে আত্মহারা ছিল পুরো বাংলাদেশ। কারণ তার সঙ্গে যোগ দেবেন টেস্টে অংশ না নেয়া সাকিব আল হাসান ও ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মর্তুজা। অর্থাৎ এই তিন শক্তি দলকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। টেস্ট সিরিজে ভয়াবহ পরাজয়ের পর ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়াবে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো তার উল্টো। দেখা গেলো, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একাদশে নেই তামিম। ফিট থাকার পর কেন দলে নেই তামিম, এ নিয়ে গুঞ্জণ উঠে চারদিকে। গুঞ্জন উঠার কারণও আছে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচটির আগমুর্হুতে দলীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়ও মাঠে ছিলেন না তিনি। এমনকি তরুণ পেসার অলরাউন্ডার সাইফ উদ্দীনকে অভিষেক ক্যাপ পরানোর সময়ও তাকে দেখা যায়নি। তবে খেলার মাঝপথে ড্রেসিংরুমে দেখা মেলে তামিমের।
যদিও এ বিষয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলপতি মাশরাফী বিন মোর্তুজা জানিয়েছেন, ‘তামিমের ব্যাপারে আমরা শেষ সময় পর্যন্ত ভাবছিলাম। তবে ফিজিও ওকে নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে চায়নি। চোটটা এখনও তামিমকে ভোগাচ্ছে। আশা করি, পরের ম্যাচের আগে ও ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো আপনারা শেষ খবরটা জানতে পারেননি। সিদ্ধান্তটা রাতে হয়েছে, সবার সঙ্গে বসে। এই সিদ্ধান্ত তামিম আর ফিজিও সবচেয়ে ভালো নিতে পারবে। কোচের (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) সঙ্গে তামিমের মনোমালিন্য বা অন্য কোনো খেলোয়াড়ের মনোমালিন্য এখানে নেই।’
কিন্তু দেশের প্রথম সারির একটি স্যাটেলাইট টিভির সংবাদে জানা যায়, খেলার আগের দিন কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে ঝামেলা পাকিয়েছেন তামিম। এমনকি রাগের মাথায় কোচকে ব্যাট ছুঁড়ে মারারও অভিযোগ তুলেছেন তার বিরুদ্ধে। যদিও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, সফরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেই তাদের আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলো টাইগাররা। আর সেই ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা ছিল জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালের। ম্যাচটির প্রথম ইনিংসেই ব্যাটিংয়ের সময় মাংশপেশীতে টান লাগায় মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে সেই যাত্রায় বাঁচলেও শেষরক্ষা হয়নি তামিমের। প্রথম টেস্ট চলাকালীন সময় দ্বিতীয় দিন ফিল্ডিংয়ে আবারো সেই একই জায়গায় চোট পান তামিম।
পরবর্তীতে প্রথম টেস্ট শেষে স্থানীয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পর জানা যায়, তামিমের ১০-১২দিন বিশ্রামের প্রয়োজন। যে কারণে দ্বিতীয় (ব্লুমফন্টেইন টেস্টে) টেস্টে খেলতে দেখা যায়নি তাকে।
গোনিউজ২৪/এআর