বাড়ির ছাদে নানা রঙের টালি- লাল, হলুদ, নীল, সবুজ। শুধু ছাদেই নয়, ওই অঞ্চলের সব বাড়িতেই নানা রঙ খেলা করছে ছাদ, রেলিং, বারান্দায়। আর সেই অদ্ভুত রঙিন বসতি দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। ফেসবুকে যার নাম, ‘রেইনবো ভিলেজ’ বা রঙধনু গ্রাম।
ইন্দোনেশিয়ার এই গ্রামটির নাম কামপুং পেলাঙ্গি। এটি যাতে পর্যটকদের নজর কাড়ে, সেজন্যই এমন ব্যবস্থা। উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। এতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার ঝড় উঠেছে। বাড়িগুলোর সজ্জার জন্য সেখানে বসবাসরতদের আর্থিক সাহায্যও দিয়েছে স্থানীয় সরকার ও বহু সংস্থা। ফলে তারাও খুশি মনেই সামিল হয়েছেন তাদের এই সাজের কাজে।
গ্রামটি রূপান্তরের কারিগরের নাম স্ল্যামেত উইদোদো। ৫৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তির উদ্যোগেই এমন পরিবর্তন। এই রঙধনু গ্রামে কমপক্ষে ২৩২টি বাড়ি আছে, যাতে দেখা যায় নান রঙের খেলা। আর প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে ন্যূনতম তিনটি রঙ।
ইতিমধ্যে বহু ছবি ভাইরালও হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শিল্পে নতুন গতির সঞ্চার করেছে এই রঙধনু গ্রাম। প্রায় ২ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করে এই গ্রামের ‘মেকওভার’ করা হয়েছে মাত্র এক মাসে। শুধু তা-ই নয়; পাশে যে নদীটি দূষিত হয়ে পড়েছিল, সেটিও পরিষ্কার করা হয়েছে।
স্থানীয় কমিউনিটি নেতা ইয়োসেপ ট্রি প্রয়োকো বলেন, ‘পর্যটন নিয়ে এমন আজব কাজ এখানে কখনও হয়নি। প্রতিটি অলিগলিও ছবি তোলার স্পট হয়ে উঠেছে।’
আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। যেমন, ফুল বিক্রেতারা তাদের বিক্রি বাড়বে বলে মনে করছেন। তবে শুধু রঙই নয়, বহু বাড়িতেই পরীর ডানা, তিমি মাছের মিনিয়েচার লাগানো হয়েছে, যা বহু দূর থেকেও দেখতে পাওয়া যায়।
গো নিউজ২৪/ আরএস