নোয়াখালীর সেনবাগে স্বামীকে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা। পরে পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কুমিল্লা থেকে স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ ঘটনায় নেজাম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ডালুয়া বাজার থেকে ওই দম্পতি সেনবাগ উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
পথে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় যুবলীগ কর্মী রিয়াজ, নুরনবী, মিজান, সাইফুল, শহীদ, ইসমাইল, স্বপন, কপিল উদ্দিন কচি ও কামাল অস্ত্রের মুখে তাদের তুলে নিয়ে একটি গুদামঘরে আটকে রাখে। এ সময় তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্ত্রীকে রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
সেনবাগ থানার ওসি হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ওই দম্পতিকে ডুমুরুয়া ইউনিয়নের বিমল ডাক্তারের ফার্মেসির পাশ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নেজাম নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
ডেমরায় স্কুলছাত্রী ও শাহজাহানপুরে তরুণীকে ধর্ষণ: রাজধানীর ডেমরায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অন্যদিকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শাহজাহানপুরে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে দু’জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
ডেমরায় ধর্ষিত কিশোরী স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা জানান, তিন মেয়ের মধ্যে সে সবার ছোট। শুক্রবার বিকালে ডেমরা থানার বামৈল বাজার এলাকায় এক স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় সে। কিন্তু রাত ৮টায়ও ফিরে না আসায় তার দুই বোন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পূর্ব হাজীনগরের বাসা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ওই ছাত্রীকে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি রাত ৯টার দিকে তাদের বাসায় খবর দেন।
ওসিসির সমন্বয়ক ডা. বিলকিস আক্তার জানান, মেয়েটির গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে গেছে। সেখানে সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ধর্ষণ না গণধর্ষণ তা ডাক্তারি পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে শাহজাহানপুরের মমিনবাগ এলাকায় তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শনিবার ভোরে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হল : নোমান চৌধুরী (২৮), শামসুদ্দিন মজুমদার ওরফে রুমন (৩৫) ও আজিজুল ইসলাম রাজা (৩০)।
শাহজাহানপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমার দাস জানান, ভিকটিমের বাসা রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুরে। রাজা তার পূর্বপরিচিত। পরিচয়ের সূত্র ধরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাজা শুক্রবার তাকে (তরুণী) শাহজাহানপুরের মমিনবাগে নিয়ে আসে। পরে রাজার সহযোগিতায় নোমান ও রুমন তরুণীকে ধর্ষণ করে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অধিকতর তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। -যু.
গো নিউজ২৪/এএইচ
