ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুখ-দুঃখে পাশে থাকে যে ভাল্লুক


গো নিউজ২৪ প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০১৭, ০৮:১৮ এএম
সুখ-দুঃখে পাশে থাকে যে ভাল্লুক

মেরু ভাল্লুকের ছানা ফ্রিৎসের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বিশ্বের সব ভক্তরা দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল৷ এবার থাকছে চলচ্চিত্র ও সাহিত্য জগতে জনপ্রিয় ভাল্লুকদের কথা৷

ফ্রিৎস, ছোট্ট মেরু ভাল্লুক
বার্লিন চিড়িয়াখানার মেরু ভাল্লুকের ছোট্ট ছানা ফ্রিৎস বিশ্বের প্রতিটি পশুপ্রেমীদের ভালোবাসা কুড়িয়েছিল৷ কিন্তু মাত্র চার মাস বয়সেই তার মৃত্যু হয়৷ তাকে নিয়ে কি কখনো কাহিনি লেখা হবে? উত্তরটা যাই হোক না কেন, এমন কিছু ভাল্লুকদের কথা কিন্তু ইতিমধ্যেই স্থান পেয়েছে চলচ্চিত্র এবং সাহিত্যে৷ আর বলা বাহুল্য সেগুলো জয় করে নিয়েছে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদয়৷

উইনি দ্য পু
ভীষণ মিষ্টি, একটু পাগলাটে এবং নম্র স্বভাব – এই হলো ‘উইনি দ্য পু’৷ ১৯২০ সালে অ্যালান আলেকজান্ডার মিলনে এই আদুরে ভাল্লুকটি নিয়ে গল্প লেখেন, সেসময় শিশুদের বইয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত চরিত্র হয়ে ওঠে পু৷ লেখকের মৃত্যুর পর ওয়াল্ট ডিজনি গল্পগুলো কিনে নেয়৷ তারাই চলচ্চিত্র এবং ধারাবাহিক বানানো শুরু করে৷ ২০০৬ সালে হলিউডের ওয়াক অফ ফেম-এ স্থান পায় পু৷

প্যাডিংটন ভাল্লুক
এই ছোট্ট ভাল্লুকটি একটা হ্যাট আর সুটকেস হাতে পেরু থেকে প্যাডিংটনে পৌঁছেছিল৷ সেখানে একটি বাদামি ভাল্লুক পরিবার তাকে আশ্রয় দেয়৷ যে স্টেশন থেকে তারা তাকে পেয়েছিল, সেই নামে নামকরণ করা হয় তার৷ লেখক মাইকেল বন্ড প্যাডিংটন এই ভাল্লুকটিকে নিয়ে গল্প লেখেন, যা প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে৷ এরপর তা থেকে টিভি-সিরিজ তৈরি হয়, এমনকি ২০১৪ সালে ‘প্যাডিংটন’ নামে নির্মিত হয় একটি মুভিও৷

সুখ-দুঃখে পাশে থাকে যে ভাল্লুক
ওয়াল্ট ডিজনির চলচ্চিত্র ‘দ্য জঙ্গল বুক’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে ‘বাবা ভাল্লুক’ হিসেবে বেজায় জনপ্রিয় ‘বালু’৷ তার গলার ‘দ্য বেয়ার নেসেসিটিস’ গানটি তো আজ সারা বিশ্বেই পরিচিত এখন৷ বিংশ শতাব্দীর শুরুতে লেখক রুডিয়ার্ড কিপলিং-এর লেখা ‘দ্য জঙ্গল বুক’ বইটি নিয়ে প্রথম অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় ১৯৬৭ সালে৷

লার্স, আরেক ছোট্ট মেরু ভাল্লুক
উত্তর মেরুর বরফ আচ্ছাদিত এলাকায় বাবা-মার সঙ্গে থাকে লার্স৷ তার সাথে ঘটে নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা৷ ডাচ লেখক হানস ডি বিয়ার ১৯৮৭ সালে শিশুদের জন্য লার্স ভাল্লুককে নিয়ে একাধিক বই লেখেন৷ ১৯৯২ সালে সে বইগুলো থেকে একটি টিভি-সিরিজ নির্মিত হয় এবং ২০০১ সালে নির্মিত হয় একটি চলচ্চিত্র৷

ভাল্লুক ভাই
বরফ যুগের শেষে উত্তর অ্যামেরিকায় কেনাই নামে এক ছেলে একটি ভাল্লুককে মেরে ফেলে৷ মৃত ভাল্লুকের পরিবার এর প্রতিশোধ নেয়৷ কেনাইকে ভাল্লুকে পরিণত করে তাড়া করে৷ পালাতে পালাতে কুমা নামের অন্য একটা ভাল্লুকের দেখা পায় কেনাই৷ দু’জনের বন্ধুত্ব হয়৷ ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও ক্ষমার এই গল্প নিয়েই ২০০৩ সালে মুভি তৈরি করে ডিজনি৷ ২০০৪ সালে অস্কারে সেরা অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের মনোনয়নও পায় ছবিটি৷

বাবার গুণ সম্পন্ন যে ভাল্লুক
রুশ অ্যানিমেটেড ধারাবাহিক ‘মাশা অ্যান্ড দ্য বেয়ার’-এ দেখানো হয়েছে সার্কাস থেকে অবসর নেওয়া এক ভাল্লুক কীভাবে জঙ্গলে একটা কুঁড়েঘরে বাস করে৷ সে তার শান্ত পরিবেশটা ভীষণ উপভোগ করছিল, কিন্তু মাশা নামের একটি ছোট্ট মেয়ে তার জীবনে রোমাঞ্চ, সেইসঙ্গে নানারকম ঝামেলা নিয়ে আসে৷ ‘মাশা অ্যান্ড দ্য বেয়ার’ বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড টিভি-সিরিজ৷

শুধুমাত্র অ্যানিমেটেড রূপেই নয়
১৯৮৮ সালের ফ্রেঞ্চ চলচ্চিত্র ‘দ্য বেয়ার’ ছিল অন্যতম সফল একটি চলচ্চিত্র, যেখানে আসল একটি ভাল্লুক মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছিল৷ জ্যঁ-জাক আনো ছিলেন এই ছবির পরিচালক৷ জেমস অলিভার কারউড-এর বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য গ্রিজলি কিং’-এর ওপর ভিত্তি করেই চিত্রনাট্য লেখা হয়েছিল মুভিটির৷-ডয়েচেভেলে

এক্সক্লুসিভ বিভাগের আরো খবর
যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিয়ে করতে চান, তাদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা দরকার

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

নিরাপদ বিনিয়োগের অপর নাম সঞ্চয়পত্র, কোনটি কিনতে কী কাগজপত্র লাগে

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

ঢাকা শহরে সব কাজই করেন মেয়র, এমপির কাজটা কী

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

নতুন আয়কর আইনে একগুচ্ছ পরিবর্তন

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

দলিলের নকলসহ মূল দলিল পেতে আর ভোগান্তি থাকবে না

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী

ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতকারীদের আয়কর রিটার্ন নিয়ে যা জানা জরুরী