ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ত্বকের একটু খানি যত্ন


গো নিউজ২৪ প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৬, ০৩:১৮ পিএম
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ত্বকের একটু খানি যত্ন

সারা দিনের কর্মব্যস্ত দিন। সন্ধ্যায় ঘরে ফেরা। পরের দিন আবার অফিস। ক্লান্তিতে নিজের যত্ন নেওয়ার সদিচ্ছা থাকে না। তবুও প্রতিদিনই বাইরে থেকে ফিরে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। আর এ সময়ের বাতাসে ধুলার ভাগ বেশি থাকে। সে কারণে ত্বক পরিষ্কার রাখা দরকার। বললেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা কামাল।


তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

এ ধরনের ত্বকের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন তেল-ময়লা তুলে ফেলা। তাই তুলার সাহায্যে টোনার দিয়ে মুখ মুছে ফেলতে হবে। তেলমুক্ত ক্লেনজিং ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলতো করে মুখ মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তবে যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা ব্রণ প্রতিরোধক জেল লাগিয়ে ঘুমাতে যাবেন। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ছাড়া বাড়িতে আগে থেকে ফেসপ্যাক বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। শসা, আপেল, কমলার রস, চন্দন ও সামান্য পরিমাণ টকদই দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকে শসার রস পরিমাণে বেশি রাখতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিনই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে।

মিশ্র ত্বকের যত্ন

এই ত্বকে কোনো অংশ তৈলাক্ত আবার কোনো অংশ স্বাভাবিক বা শুষ্ক হয়ে থাকে। এ ধরনের ত্বকে প্রতিদিন টোনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন। যাতে ত্বকের তৈলাক্ত ভার কমে যায়। যেকোনো ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। আপনার প্রয়োজনমতো ত্বক মালিশ করুন। হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, তৈলাক্ত ত্বকে কখনো হালকা গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এরপর বাড়িতে বানানো যেকোনো প্যাক লাগাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শসার রসের পরিমাণ স্বাভাবিক রেখে মৌসুমি ফল দিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এতে ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক কোনো উপাদান নেই।

শুষ্ক ত্বকের যত্ন

এ ধরনের ত্বকে টোনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনের ব্যবহারের ক্লেনজিং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ, ত্বক পরিষ্কার করে নিন। গাজর, কলা, সামান্য পরিমাণ মসুর ডাল, টকদই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন।
তবে সপ্তাহে প্রতিদিন সম্ভব না হলে অন্তত তিন দিন শসার রস বা শসা গোল করে কেটে চোখের ওপর দেওয়া উচিত। সারা দিনে চোখের ওপর চাপ বেশি পড়ে। আবার ক্লান্তিও প্রকাশ পায় চোখের মাধ্যমে। তাই নিয়মিত চোখের যত্ন নিতে হবে। এভাবে নিজের যত্ন ৩০ মিনিট ধরে রাখুন। তাহলে শরীর ও মন দুই-ই সতেজ থাকবে।

গো-নিউজ২৪/সিরাজী শাহরিন/এএফ

 

ওমেন`স কর্নার বিভাগের আরো খবর
আপনার বাচ্চাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে যেসব খাবার!

আপনার বাচ্চাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে যেসব খাবার!

পিরিয়ডকালীন দুর্বলতা কমাবে যেসব খাবার

পিরিয়ডকালীন দুর্বলতা কমাবে যেসব খাবার

মেয়েদের যেসব সমস্যা ক্যান্সারের লক্ষণ!

মেয়েদের যেসব সমস্যা ক্যান্সারের লক্ষণ!

ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে টেন মিনিট স্কুল

ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে টেন মিনিট স্কুল

উইগুর নারীদের জরায়ুতে বিশেষ ডিভাইস বসিয়েছে চীন

উইগুর নারীদের জরায়ুতে বিশেষ ডিভাইস বসিয়েছে চীন

করোনা প্রতিরোধে হিজাব কার্যকরী, মার্কিন গবেষণা!

করোনা প্রতিরোধে হিজাব কার্যকরী, মার্কিন গবেষণা!