ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক এমপি টিপু সুলতান আর নেই


গো নিউজ২৪ | স্টাফ করেসপন্ডেট প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৭, ০৯:৫১ এএম
সাবেক এমপি টিপু সুলতান আর নেই

যশোর: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যশোর-৫ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খান টিপু সুলতান মারা গেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

তার ছেলে হুমায়ুন সুলতান সাদাব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ রোববার বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে, জোহরের নামাজের পর সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ যশোর আনা হবে। বাদ আসর যশোর শহরে ও বাদ মাগরিব তার নির্বাচনী এলাকা মনিরামপুরে জানাজা হবে।’

পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট যশোর শহরে নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে তিনি শরীরে জ্বর অনুভব করেন। এর মধ্যে হঠাৎ করে পড়ে গিয়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। স্বজনরা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে তাকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানানো হয় ম্যানেনজাইটিজ রোগে আক্রান্ত হয়ে তার ব্রেনে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এবং সেখানে পানি জমেছে। শনিবার রাতে তিনি মারা যান।

প্রসঙ্গত, খান টিপু সুলতান ১৯৫০ সালের ১৩ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়ার জমিদার বাড়ি অর্থাৎ মামার বাড়িতে তার জন্ম। দাদার বাড়ি নড়াইল জেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গোয়াল বাতান গ্রামে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা ক্যান্সারে মারা গেলে টিপু সুলতান অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। এসময় লেখাপড়ার জন্য তাকে যশোরের লোনঅফিস পাড়ায় মামার বাড়িতে চলে আসতে হয়। 

১৯৬৬ সালে যশোর সম্মিলনী স্কুলে ১০ম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এসময় তিনি অনেক ছাত্রকে ছাত্রলীগের সদস্য করেন এবং ছাত্রলীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করেন। এতে জেলা ছাত্রলীগের নেতারা খুশি হয়ে ওই সময়েই তাকে যশোর শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। 

১৯৬৮ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৯ সালে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে যশোর অঞ্চলের নেতৃত্ব দেন খান টিপু সুলতান এবং ১৯৬৯ সালে অনুষ্ঠিত জেলা ছাত্রলীগ সম্মেলনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ এর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তার নেতৃত্বে সেসময় যশোর কালেক্টরেটের নিয়াজ পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৯৭৮ সালে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অ্যাডভোকেটশিপ অর্জন করেন এবং আইন পেশায় যোগ দেন।

১৯৭৮ সালে তার উদ্যোগে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। এর পরপরই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচন করা হয়।
১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে যশোর-৫ (মনিরামপুর) হতে নির্বাচিত হন খান টিপু সুলতান। এ সময় তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে আবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। 

১৯৯৬ সালের ১২ জুন ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে যশোর-৫ আসন থেকে বিজয়ী হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খান টিপু সুলতান আওয়ামী লীগ হতে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেন এবং ৩য় বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

গো নিউজ২৪/এমবি

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা