সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে নামকরা মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনার ঝড় শেষ হতে না হতেই ট্রাম্প জানিয়েছেন এ বছর তিনি হোয়াইট হাউস প্রতিনিধিদের বার্ষিক নৈশভোজে যোগ দেবেন না।
কিছু সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আগে থেকেই ট্রাম্পের সম্পর্ক খারাপ ছিল। ট্রাম্পের নতুন এই ঘোষণার মাধ্যমে তা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। শুক্রবার বিবিসি, সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ কয়েকটি নামকরা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারের সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতে দেয়া হয়নি ।
এরপরেই আবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বার্ষিক নৈশভোজ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রায় শত বছর ধরে সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন এপ্রিল মাসে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। সেখানে রাষ্ট্রের প্রধানরা যোগ দেন এবং হালকা মেজাজে কথাবার্তা বলে থাকেন।
এদিকে, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের প্রেস ব্রিফিং থেকে সাংবাদিকদের বাদ দেয়ার এই ঘটনায় উদ্বেগ তৈরি করেছে। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, হোয়াইট হাউস মিথ্যে খবর ছড়ানো চলতে দিতে পারে না। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন বর্জন করেন।
নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিএনএন এই সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করে মার্কিন সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস সংবাদদাতাদের সংগঠন হোয়াইট হাউজ করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেফ মেসন এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সিএনএন এবং নিউইয়র্ক টাইমসের ওপর হোয়াইট হাউস ক্ষুব্ধ বলেই তাদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও, তিনি তা অস্বীকার করেন।
গো নিউজ ২৪/এইচ
