সন্ত্রাসী হামলাসহ নিরাপত্তারহীনতার নানা সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। ২০০৯ শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে কোন শীর্ষ দেশ পাকিস্তানে খেলতে যাচ্ছে না। এমনকি দেশটির ঘরোয়া লীগ পিসিএলেও যেতে চায় না কোন ক্রিকেটার।
এদিকে, সন্ত্রাসী হামলার চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে গত বছর পিএসএলের দ্বিতীয় আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তানে। কোনো অঘটন ছাড়াই ওই ম্যাচ সফলভাবে হওয়ায় এবার আরও বেশি আশাবাদী পিএসএল গভর্নিং কাউন্সিল।
গতবার নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে লাহোরে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে যাননি অনেক বিদেশি খেলোয়াড়। তবে এবার এমনটা হবে না বলে জানিয়েছে পিএসএল চেয়ারম্যান শেঠি।
গতবার নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে লাহোরে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে যাননি অনেক বিদেশি খেলোয়াড়। তবে এবার এমনটা হবে না বলে জানিয়েছে শেঠি। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘তৃতীয় আসরের সব খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে খেলার জন্য বাধ্য থাকবে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করার সময় সেটা উল্লেখ থাকবে।’
পাকিস্তানে গিয়ে খেলার জন্য বিদেশি খেলোয়াড়রা তাদের সচরাচর ফি থেকে বাড়তি বোনাস পাবেন। সেটা ৫০% কিংবা আইকন খেলোয়াড়দের জন্য ১০০% ও হতে পারে। তবে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা এমন চুক্তির বাইরে থাকবেন।
সবশেষ আসরে মাত্র একটি ম্যাচ পাকিস্তানে হলেও পরবর্তী মৌসুমে এ সংখ্যা বাড়ানোর কথা জানিয়েছে পিএসএল গভর্নিং কাউন্সিল।
আগামী মৌসুমে পিএসএলের ৮টি ম্যাচ পাকিস্তানে হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শেঠি। ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতেই এমন পরিকল্পনা তাদের। এর মধ্যে লাহোরে ৪টি এবং করাচিতে ৪টি ম্যাচ হবে।
এ প্রসঙ্গে এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে পিএসএল চেয়ারম্যান শেঠি বলেন, ‘সময় পরিবর্তন হয়েছে। আমরা পাকিস্তানে ৮টি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা নিচ্ছি। এর মধ্যে চারটি করচিতে এবং বাকি চারটি লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে।’
গো নিউজ২৪/এএইচ